উত্তরে ব্যতিরেকে আমার সৃষ্টি কিছু কবিবর আগ্রহ প্রকাশ করায় আজ কিছু লেখা আড্ডাতে লিখেছি উত্তরদান বন্ধ রেখে। যদিও বা কিছু উত্তরের উত্তরে কবিতা সৃষ্টি হয়ে গেছে। তা অন্য সংখ্যায় প্রকাশ দেবো।
আজ মুক্ত মনে লেখাগুলিই উত্তরে উত্তরে
৬৯ এ দিলেম।
রইবি তো
(আড্ডাতে আজ লেখা গান)
যদি দুর গগনের ডাক আসে প্রাণ বইবি তো-
মন বাতায়ন মলয় বাতাস-হৃদ আকাশে-
স্নিগ্ধ ধারায় রইবি তো!
সাগর নদী ডাকল যদি-আকাশ নীলে শ্বেত বলাকার-
শুভ্র ডানায় দূর অজানায়-ঝঙ্কারেতে-
সে সুর তান বইবি তো!
যদি দুর গগনের ডাক আসে -প্রাণ বইবিতো-
মন বলাকা আকাশ নীলে-
হাজার বীণার সপ্তসুরের সুর ঝঞ্ঝায়
রইবি তো!
রবির কিরল মালায় গেঁথে-জ্যোছনা আলোক ভূবন ধারায়-
ঝড়তে ভূবন সেই ধরা তান-
অগ্নিবীণায় দুর অজানায়-
রইবি তো!
যদি দুর গগনের ডাক আসে প্রাণ-বইবি তো-
মন বাতায়ন মলয় বাতাস-
হৃদ আকাশের স্নিগ্ধ ধারায়-
রইবি তো!
দীপ্ত রবির সপ্তসুরের বাজছে মাদল-হাওয়ায় সে রব-
দিচ্ছে হানা-
মন হারিয়ে ঝর্ণাধারায় বইছে সে প্রাণ
সেই ঠিকানা।
উড়ছে ফাগুন দীপ্ত আগুন -মেঘ সে গগন মলয় বাতাস-
শান্তি সোপান গড়তে ধরায়-
প্রদীপখানি জ্বালবি তো!
সপ্ত সাগর দিচ্ছে সে ডাক-
রং ফাগুনের দশ দিশাতে হারিয়ে যেতে
মনটি চাই-
প্রাণ সে প্রখর -মন বাতায়ন সুবাস মিলে-
প্রেম দরিয়ার লহর সে গান-
আকাশ নীলে হারিয়ে যাই।
সাগর নদী ডাকল যদি-আকাশ নীলে-
শ্বেত বলাকার শুভ্র ডানায়
বইবি তো-
মন বাতায়ন মলয় বাতাস-হৃদ আকাশে-
স্নিগ্ধ ধারায় রইবি
তো!
(আড্ডাতে আজ লেখা)
অঙ্গাণ
অনন্ত অজানাতে শত কোটি আকাশগঙ্গা মাঝে অগনিত নীহারিকা-
তারি মাঝে হাসে রবি-প্রাণ রূপি
কুহেলীকা-
শতধায় বিকশিত ধরাতলে বহে প্রাণ-
বয়ে চলে বয়ে চলে-মানুষেরি
জয়োগান।
কবিমন উচাতন মানুষের দম্ভেতে-
দিবারাত মশগুল হিংসাতে
মন মাতে।
আপনে ভাবিছে শ্রস্ট্রা সৃষ্টিতে ভাবে নাই-
শত কোটি নীহারিকা-যেন মন
দেখে নাই।
কে রচিল গ্রহতারা সুচারু সে গননায়-
রচিলো কে প্রাণ মহা-দিব্য
সে ছলনায়।
অনুভূতি প্রেম ভাব নিবেদিল কেন প্রাণ-
বোঝে নাই বোঝে নাই-যেন
মন অঙ্গাণ।
কবি ভাবে কতটুকু বিঙ্গান দিল ধরা-
রচিতে কি সক্ষম নীহারিকা
গ্রহ তারা।
উদগ্র কামনাতে কনা অণু অস্ত্র-
যেন হাতে দিল ধরা
ব্রমাস্ত্র।
পরিহাস কেঁদে ফেরে-শ্রষ্টার চোখে জল-
রচিতে স্বরূপ আপনো-শত কত
হীন্যবল।
দূষণের কাঙ্গারেতে কবিপ্রাণে ব্যপ্ত-
ধ্বংসের শেষদিন-প্রাণ
অবলুপ্ত।
(আড্ডাতে আজ লেখা)
কেন?
কতটা আঘাত দেবে তুমি প্রিয়তমা-পারবে কি ভেঙ্গে দিতে-
পারবে কি আমার মন থেকে তোমার
নাম মুছে দিতে।
তুমি যদি আগুন হও তবে আমি মাটি।
বিধ্বংসী দাবানল তান্ডবলীলা চালাতে পারো তুমি-
ধ্বংস করে দিতে পারো সৃষ্টির নিশানকে-
পারবে কি আমাকে-
পেরেছো কি কখনোও!
পারবেও না কারন আমি মাটি আমি খাঁটি।
দাবানলের দবদবানি বন্ধ হলে আবার
সে বঞ্জর মাটিতে সিক্ত শিশির বিন্দুতে জন্ম নেবে সবুজ ঘাস
তৃনমূল-ক্রমে ক্রমে বৃক্ষ মহীরুহ।
মনে নেই সেদিনকার কথা যেদিন তোমাকে সামনে বসিয়ে
একটার পর একটা সিগারেট উড়িয়ে
পর পর তিনবার সে সিগারেট
আমার হাতের চামরাতে চেপে চেপে নিবাচ্ছিলেম-
দুটো ডান হাতের কবজি আর কুনুইয়ের মাঝখানে
আর শেষেরটা বা হাতে কব্জায়।
মনে আছে কি বলেছিলেম-
এর চেয়ে বেশি কষ্ট দিতে পারবে তুমি।
সুস্থ হলে তুমিই খুজে বেড় করেছিলে
বাঁ হাতের কবজির পোড়া দাগটা
অবিকল লাভ চিহ্ন।
আজ তুমি পরিশ্রান্ত বোধ করছো কেন?
দাও আরও কষ্ট চাই আরো আরোও অনেক
কেন আজ হেরে যেতে চাইছো
প্রিয়তমা।
(আড্ডাতে আজ লেখা)
রানী
আজ আকাশে বৃষ্টি বাদল আকাশ কালো ধরা-
ঝড়িয়ে ভূবণ গাইছে কালো-
শ্রাবণ বারিধারা।
নির্ঝরেতে ঝড় ঝড়েতে-বিরাম যতি ক্ষনিক নাই-
কল কল কল ভরল সে গাং-
ভাঙ্গলো দুপার ভাঙ্গলো
ভাই।
হুর হুর হুর বানের তোরে-ভাসিয়ে বাড়িঘর-
খর কুটো ভাই উড়িয়ে দিয়ে-
ভয়াল কলোরব।
আর্তনাদে আর্ত প্রাণে-সব হারানোর করুণ সে সুর-
বইছে ভুবন শ্রাবণ ধারায়-বক্ষ করে
দুরদুর।
শ্রাবণ সে তার করাল রূপ-আর্ত্ত ভয়াল ধ্বনি-
দুখ বেদনার হাজার প্রাণে-তবুও
তুমি রানী।
নাই গ্লানি নাই নাইকো মান-নাইকো শোকতাপ-
তোমায় ভূবণ জরিয়ে ধারায়-
নাইকো অভিসম্পাত।
জীবন তুমি হাজার মানিক-লক্ষ স্ফটিক দেয় উজালা-
দীন দুখী বানভাসি-ভালোবাসে
তোমার ধারা।
স্পর্ধা তো নাই তোমায় দিলেম-আগমনী গান-ঝড়তে ভূবন-
শ্রাবণধারা বছর বছর-দুখ ভুলে তাই
করছি পূজন।
প্রিয়কবি আতাম মিঞ্চায় আজ প্রকাশিত অ দ্ভু ত কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
নাভিশ্বাস
সত্য কথা বলি আমি-ফেসবুকের ধার ধারিনা-
ইনবক্সে অনেক লেখা-জরুরি ছাড়া
আর খুলিনা-
কারন কি-কিছুই না-ভার্চুয়ালে নাই বিশ্বাস-
দিকে দিকে দেখে দেখে-
ওঠে আমার নাভিশ্বাস।
সত্যনাশের খবর দেখি-পেপার ছাপায় মাঝে মাঝে-
বিয়ে করে ওই মেয়েটা-
পতিত শালায় বিকে গেছে।
আর শুনিনু জামাই রাজা নেটের মাঝে বিয়ে-
রিয়েল লাইফে গয়না গাঁটি-
হাফিজ পলান দিয়ে।
তাই করিনা ফেসবুক-চাট কিছুই-জানিনা-
জেনে বুঝে কাম নাই ভাই-
মাথায় এসব
আর আনিনা।
প্রিয়কবি মোঃ আব্দুস সোবহান রুসাফী মহাশয়ের প্রকাশিত "এই ছন্দ-নয় মন্দ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ভোকাট্টা
দর দর দর দর-ঘাম ঝড়ে সারাগায়ে-
থম থম থম থম-গরমেতে
প্রাণ কাড়ে-
জ্বল জ্বল জ্বল জ্বল-জোনাকিটা জ্বলছেই-
কল কল কল কল-ঘামঝড়া
ফেলছেই-
বন বন বন বন-ঘুড়ছেই পাখাটা-
ঠান্ডার লেস নাই-বাতাসটা
ভোকাট্টা।
চল চল চল চল-এবেলাতে কেঁটে পড়ি-
ঝম ঝম ঝম ঝম-চল ধরি
রেলগাড়ি।
ঝিক ঝিক ঝিক ঝিক-পাহাড়েতে চলে যাই-
কন কন কন কন -ঠান্ডাটা
পেতে চাই।