প্রিয়কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত কবিতায় অল্প খানিক আগে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
লহ প্রনাম
প্রনাম রবিঠাকুর লহ প্রনাম-
তব সুর ঝঙ্কারে মোহিতো ধরাতে-
আলোকো প্রাণেরো
দিশা-
তব সঙ্গীতে নব আঙ্গীকে দুর হলো
তমানিশা।
বাংলার মান বিশ্বআকাশে
জ্বালিলো রঙ্গীনো বাতি-
২২ শে শ্রাবণ দিন সে প্লাবণ-
ধারায় উঠিলো
মাতি।
প্রিয়কবি রিঙ্কু রায় মহাশয়ার অনুরোধে উত্তরে লেখা ছাড়াও কারগিল যুদ্ধের সময়ে লেখা কবিতাটি প্রকাশ দিলাম।
তস্কর
কারগিলে জ্বেলেছে আগুন যুদ্ধবাজের দল-
রক্তে আগুন ঝড়ে শতগুন
দেহবল।
শত সূর্যের তেজে এ দেশ ভাস্কর–
শ্বেতপতাকার শুভ্রভূমিতে এলি
কে রে তস্কর।
সুঁড়িপথ বেয়ে বিষবাণ লয়ে এলি ওই কে রে-
চন্ডী মায়ের শপথে বলি-সমরে
বধিবো তোরে।
কমলা মায়ের ঋষি সন্তাণ মোরা শত সহস্র কোটি-
ভাবলি কি রে এত দীন মোরা মানবো
নিযুতো ক্ষতি।
তপযোগোবলে ধনী মোরা কুপিতো হিংসা ধ্বংস করি-
ধন্য মায়ের কায়া-সুচার্গ ক্ষতে মোরা
রণচন্ডীর রূপ ধরি।
ওই শোন ওই শঙ্খনিনাদ-রূপ দ্যাখ ওই রণচন্ডী-
মহাভৈরবে সমুখো সমরে-বাধিনু
তোদের গন্ডি।
ভারত মায়ের বীর সন্তাণ মোরা-হিংসা ধ্বংস করি-
শ্বেত পতাকার শুভ্রভূমিতে-সুখের
প্রাসাদ গড়ি।
প্রিয়কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "রাখী বন্ধন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পণ
রাখী আনে ভাতৃপ্রীতি সম্পৃতি-মুক্ত মনের দিশা-
রাখী তমস ঘন হৃদখাতে দুর হয়
অমানিশা।
এসো সবে এসো রাখীবন্ধনে মাতি-
এসো এসো এসো হৃদয়োগঙ্গা
প্রাণ আকাশেতে-অরুনো
আকাশভাতি।
তিলকো ভালেতে দূর্বা ধানেতে-হাতে বন্ধন মালা-
দুর হেতু ঝঞ্ঝাতুফানে যমেরো
দুয়ারে কালা।
আজিকে ধরাতে দানবো রাজেতে-শঙ্কিতো দুহিতা কাঁদে-
হাজারো নির্ভয়া নিভিছে বাতি-
অপমান অবসাদে।
আজিকে প্রাণেতে নেবো সে পনেতে-জীবনো রাখিবো বাজি-
রাখীরো রাখিবো লাজ-সে কথা-আজিকে
রাখিনু বাজি।
প্রিয়কবি আতাম মিঞ্ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা ভ্রষ্টজন্মা স্বাধীনতা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মহিষাশুর মর্দিনী (তৃতীয় পর্ব)
(আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস-৩১)
এ যুগ সন্ধীক্ষনে নারীশক্তি উথ্থান হেতু-
হে কালিকা হে মহাশক্তি-
জীবনো প্রদায়িনী করুণাময়ী-
হে মাতা দুহিতা তনয়া-আদি শক্তি মহামায়া-
ঘন কালো ধরা-মহাকাল-
রুদ্রচন্ডী ধরো
অবতার-
দিকে দিকে দিকে দিকে রক্ষোকূল শ্বপদো ভয়ঙ্কর-
ললাটো লিপিতে পদাঘাতে তব
ধরো ইতিহাস-
জাগো জাগো জাগো-হে মহাময়ী-জাগো-
উন্মাদ ছিন্নমুন্ডা অবতার তব-
ধরনী প্রবাহিত কর
রক্ষকূলেরো
রক্তে-
সেবায়িত প্রাণে সঞ্চার ধরো-উন্মত্ত মহাকালী ধরো রূপ-
জাগো জাগো জাগো-হে নারীশক্তি-
আদ্যাময়ী-করুনাময়ী-
মাতা দুহিতা তনয়া-জাগো-ধরো সে রূপ দেবী দূর্গা-
অসুরোনাশিনী-মহাশক্তি
মহামায়া-
শত শত অস্ত্র সজ্জিত-রক্ষোকূলে বিনাশিতে-
পুনঃ স্থাপনে স্বস্থান-জাগো জাগো জাগো-
মহাশক্তি আদ্যামায়া
জাগো।
প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত জনমান্ধ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
দৃষ্টি
দৃষ্টিহীন জন্মান্ধ যারা-অনুভবে মন ও মননে হয় বিকশিত-
হাঃ হাঃ হাঃ নয়নোতারায় আলোকোধরা-
যারা করে নিকশ কালো
শত শত যুগ
উৎযাপিত!
দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি নাই-হৃদয় দিলেন ভগবান-
দৃষ্টি সনে খেলছে যারা-অমন
কালো হাওবান।
রক্তে ঝড়ে ফুলকি আগুন-জ্বালায় হৃদয় প্রাণ-
হিংসা দ্বেষ ছড়ায় ধরায়-মারতে
শতেক প্রাণ।
দৃষ্টিহীন চক্ষু তাদের-ত্রিশুল দেবো ঘাত-
অন্ধ করেই ছাড়বো তাদের-
দেবোই প্রতিঘাত।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিচার যেন মহান" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ষষ্টি পূজা
দুহাত তোলো মু্ষ্টি ধরো আকাশ তোলো গান-
মারবো চাবুক মারতে কষা-বিষ
করে যে দান।
মারতে ভূবন দুনিয়াদারী-ভানুমতির খেল-
খেলতে দ'লে কাস্তে তুলে-মারতে
চাবুক তেল।
দুহাত তোলো মু্ষ্টি ধরো-ষষ্টি পূজার তরে-
ছোবল যারা মারছে মোদের-মারছে
বারে বারে।
দ্বারে দ্বারে চাবুক ধরো-তুলবো শোধের বারি-
কাস্তে হাতুর শাবল কুঠার-তোল
রে তলোবারী।
প্রিয়কবি নীরা নার্গিস মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "আপনার চেয়ে আপন যে জন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
গয়াকাশী
রাত দিন সব বদলে গেছে-হুতুম প্যাচার বাসা-
ফিসফিসানী ঘুসঘুসানী-এর বেশী আর
নাই রে আশা।
হুতুম প্যাচার চোখ যে কানা-কিছুই দ্যাখে নাই-
খোল করতাল কঙ্গো বাজায়-নাঁকি
সুরে সাঁনাই।
বাবার আর শক্তি নাই-কাজকর্ম ঘোড়ার ডিম-
দিন মান রাত করতে সেবা-ডাক্তার
আর হদ্দ হাকিম।
দুর করো দুর দুর্গা বলে-আশ্রমেতে দাওনা ডিল-
বয়েই গেল সাত কথাতে-নিন্দুকেরা
দারুন মিল।
কোর্ট কাচারী বাচতে বাপু-মায়ের হাতের সইটা চাই-
দুদিন পরে হাত কচলান-ওই বুড়িটা
মরবে ভাই।
খোল করতাল কঙ্গো আনো-দুচার চাবুক লাগাও কষে-
ভালই আছে বুড়ি-আমার ঘরে
খেয়ে রসে।
সইটা নিয়ে ঘারধাক্কা-আমার বাড়ি তাড়াও তাকে-
চিন্তা নাই সমাজসেবী-থাকে ওরা
তাকে তাকে।
আশ্রমেতে থাক না বুড়ি-বয়সটা তো কম হলোনা-
সংসারেতে আর কেন আর-করতে থাকে
আর ছলনা।
তুমি প্রিয়া আমার হলে-তোমায় কত ভালবাসি-
তোমায় নিয়ে ভূবণ গড়ি-যাকনা
ওরা গয়াকাশী।