প্রিয়কবি Dr. Pritish Chowdhury মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "বিপন্ন সময়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিদ্রোহ
মহাশূণ্যে সহস্র কোটি নিহারিকা মাঝে-প্রাণময় এ ধরা-
অসীমের মাঝে সসীম-
মনোমুগ্ধকরা।
মধুকরা গুঞ্জন অলি প্রাণ ভ্রমরেতে-
শত শত বিকশিত-অনন্ত-
কামনাতে।
কে রচিল দিবাকর-কে রচিল নিহারিকা-
রচিল কে শশধরা-জ্যোছনার-
আলো রেখা।
রচিল কে মধুপ্রাণ-অনন্ত পিয়াসেতে-
কেন দিল ক্রুরতার বাণী তায়-
শত প্রাণে লিখে-
দিতে।
আমি কবি গাহি গান-অনন্ত অসীম-
যেন যেন যেন-নাম লিখি ভগবান-
ঈশ্বর সীমাহীন।
কেন মতি হিংসার-বলি হবে শত প্রাণ-
আগুনেতে কত মেতে-হিংসার-
ধরা গান।
তাহা যদি তব বানী-নাই তবে প্রদ্যুতে-
জোর হাত কভু নাহি-অসনীত-
বিদ্যুতে।
নাহি চাহি দয়া তব-নাহি চাহি কবিতা-
যেথা হেতা হেন মতি-
ফনা তোলে-
হিংসা।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত স্বপ্নস্বাদ-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
গদ্যছন্দ প্রয়াস -৩
অপেক্ষা
একদিন নুশুতি রাতে-
আকাশে ছিল টিমটিমে চাঁদের আলো-
মন বাতায়ন খুলে একফালি চাঁদের
আলো এছেছিল।
সে লাবন্যে ধরা ছিল হাজার স্ফটিকের
ঝকঝকে চকচকে উষ্ণ স্রোতের প্রস্রবণ-
মন হারিয়ে ভেসে গিয়েছিলেম সেই-
শঙ্খচিলের দেশে।
সে রাগীনি উঁচু নিঁচু খাদে কভু পর্বতে-
সহস্র ফনা মেলে-উন্মদনায় উন্মত্ত-
সাগরে খেলেছিল ঢেউ-প্রবল সুনামিতে-
ভেসে গিয়েছিল সে কূল।
জীবন আজ মধ্যগগণ পার করে-সেই সুনামির দেশে-
স্বপ্নের জ্বাল বুনে-দুচোখ সেই একফালি আলোকের খোঁজে-
কত যে নিশুতি রাত-মন বাতায়ন খুলে-
চেয়ে রই-চেয়ে রই-সে দিন
অপেক্ষায়।
প্রিয়কবি রোকন আহমেদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিতা "ছোট কংকিট" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা
(গদ্যছন্দ প্রয়াস-৪)
কেন?
এক পৃথীবি ধরা উন্মত্ততা-রক্তের হোলিখেলা দিকে দিকে-
বিভ্রান্ত ভীতসন্ত্রস্ত মনুষগুলি-
দানবের হিংস্র থাবার কবল থেকে পরিত্রাণের আশায়-
উদভ্রান্ত-
শরনার্থী শিবিরে ঝরে পরে-শত শত-
কান্নার রোল।
ধর্মের কলুসতা-বিষাক্ত বারুদে-কটুময় প্রানোবায়ু-
উত্তর দক্ষিন পূর্ব পশ্চিম-
মেদিনীর কান্নার রোল-
জ্বালিবে কে দীপশিখা-বিপন্ন মানবতা-
আহা!
একনিশ্বাসে এটুকু লিখে যেন ঝিমিয়ে পরলাম-
নত মস্তকে করজোরে মুদিত নয়নে-
যেন পরম কৃপাময় ঈশ্বরের-
একটু সান্যিধ্য পাবার-
আশায়।
কি দিলে ঈশ্বর তুমি-কেন কেন কেন?
নিরব কান্নার সে ধ্বনী-
যেন গ্রাস করে নিল আকাশ বাতাস-
কেন কেন কেন?
দুচোখে নামে বন্যা-কি বোর্ডে ঝড় তোলা আঙ্গুলগুলি-
স্তিমিত হয়ে আসে-
চকিতে শিহরণ খেলে গেল প্রানে-
নিমেষে কঠিন হয়ে উঠল চোয়াল-
দুচোখে যেন বিদ্যুত-
খেলে গেল-
প্রেসারটা বোধহয় অনেক অনেক উঁচু হয়ে গেছে-
মাথায় সে কথা-
অনুভব।
ওরে ওই তপ্ত লহু-অনেক হোল অনেক বহু-
এবার ধরা উঠবে জেগে-
প্রবল রাগে সেই-
আবেগে-
অস্ত্র নিয়ে মেলবে তারা-করতে তোদের দিশেহারা-
শেষের সে দিন-
শুরু।
প্রিয়কবি এম এ মতিন মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "নকশী কাঁথার মাঠ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেকা কবিতা।
নকশী কাঁথার মাঠ
এই তো ভালবাসা-ব্যথাও দেয় আবার স্বপ্নও বোনে-
নকশী কাঁথার মাঠ-
ভূবনে।
কখনো হাসি তো কখনো কান্না-শীতল বায়ু তো কখনও ছলনা-
জীবন উছলিত প্রেম সে ভূবন-
অঝোর ঝরায়-হয় যে আপন-
জীবন নদের-
ঝর্ণা।
দুচোখ ঝরায় অনেক ব্যথা-গরল সে লয় আপনো সখা-
নিত্য ভবের-
হাটে।
সংসারেতে সুখ কামনায়-সন্তানেতে হৃদ সে মোতি-
কলুর বলদ প্রাণ সে মেলে-
নিত্য হেথায় জীবনভাতি।
আকাশ ভাঙ্গে সিঁদুর রঙ্গে-রাগ সে প্লাবন খই সে বানে-
ঘাত প্রতিঘাত অভিমানে-অন্ত-
নীলে কান্না।
কখনো হাসি তো কখনো কান্না-শীতল বায়ু তো কখনও ছলনা-
এই তো ভালবাসা-ব্যথাও দেয় আবার স্বপ্নও বোনে-
নকশী কাঁথার মাঠ-
ভূবনে।
প্রিয়কবি শক্তিপদ মাইতি কবিতা চারিদিকে বিদ্যুৎ আজ রাত ১০।৪৬ এ লেখা কমেন্ট বক্সে উত্ত্র দিতে।
দীশা
জোনাক জোনাক দুঃখ কথা-লাগলো ভালই বেশ-
জোনাকিরা দুঃখে ভীষন-
ভাবছে কোন-
দেশ-
কোন দেশেতে আঁধার অনেক-বিজলি বাতি নাই-
ছোট্ট জোনাক খুজবে কোথায়
পথের দীশা-
চাই।
ভাবছি আমি ওই জোনাকি-আয়রে মোদের হৃদে-
হেথায় নিকষ কালো ছায়ে-
দুঃখ সদাই-
কাঁদে।
আজ আড্ডা তে লেখা কবিতা
আধুনিক বর্ণপরিচয়
অ তে অধিক কাপড় পরতে বাড়ন-
আ তে আসছে তেড়ে ওই
যে রাবণ-
ই তে ইদুর ছানা প্রেম পায়না-
ঈ তে ঈশ্বরেতে দুই
চার আনা-
উ তে উঠলো প্লাবণ যৌবনেতে-
ঊ তে ঊলুবনে ওই
কোনেতে-
ঋ তে ঋতুপর্ণা বাংলা বই-
li তে liকার দিল ডিগবাজী-
ওই-
এ তে একটাকার আর জমানা নাই-
ঐ তে সব মেয়েরাই-
ঐর্শয্য রাই।
ও তে ওই চলনা ওই ডিস্কো বারে-
ঔ তে ঔষধ-সেথা কোমর
নাড়ে।