প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিষধর" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
(জম্মু কাশ্মীরে উগ্রবাদীরা , তীর্থযাত্রীদের উপর গুলি চালায়, সাত জন মৃত , বার জন ঘায়েল তিন সেনা সহ সাল ২০০০ এ, তিরিশ জনকে এভাবে হত্যা করে। সৌজন্যে প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়। এই পরিপেক্ষিতে লেখা কবিতা। )
সারমেয়
হায়রে পাষান বেদী-অমানুষ পাষন্ড হানাদার-
গোনরে সময় সারমেয় দল-
তোর বুলেটের দানায়-
দানায়-
রক্তে লিপিত সে বাণ রচিত-
প্রত্যাঘাতের বাণী-কান পেতে ওই-
শোনরে পামর-সে বান-
ঝলক শুনি।
স্বর্ণালোকের সেই ঝলকে-উঠলো ধরা জেগে-
মানবতার শুভ্র সে রং-ধাইলো-
প্রবল বেগে।
দিকবিদিকে রক্তহানা-হিংসা দ্বেষের গান-
মানবতার তীক্ষ্ণ ফলা-নেবেই-
তোদের প্রাণ।
এই ধরাতেই বিচার তোদের-সারমেয়দল শোন-
হিসেব তোদের হোলই শুরু-শেষের-
সে দিন গোন।
প্রিয়কবি Dr Pritish Chowchury মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "চুনামি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সুনামী
প্রশান্ত মেদিনী দিকে দিকে কলরবে-
হাসি আর উল্লাসে-আনন্দ-
ধরা সবে-
উৎসবে মন মেতে-শত শত পরিযায়ী-
সমুদ্র সৈকতে-আনন্দে-
প্রাণ ধরি।
তরঙ্গো রাশীমালা উছলিত সৈকত-
স্নানায়াদী সমুদ্র বিহঙ্গ-
কলরব।
ছোট ছোট তরীগুলি-উছলিত যায় চলি-
ধীবরেতে ধরা তান-সমুদ্র সৈকতে-
শত কত কলরবে-আনন্দে-
ধরা প্রাণ।
কচি কাঁচা শিশুকলি-কূলে কূলে ছোটাছুটি-
সমুদ্র দর্শণে-ঝাউবনে ঝাউবনে-
উছলিত গানে মাতি।
শত কত ব্যপারি-সৈকতে ডালা মেলা-
ঝিনুকের শত কলা-বেঁচাকেনা-
প্রাণ খেলা।
প্রশান্তি দিকে দিকে-আলো রং জলবায়ু-
সৈকতে সৈকতে সোনা ধরা-
চিক বালু।
চকিতে সে সাগরেতে শত লয় তুফানেতে-
তর্জন গর্জন-ফুলা ফুলা ঢেউ শত-
আকাশকে আহ্বান।
শত প্রাণ নিনাদেতে-সৈকত ভরা জল-
প্রবল সে ঢেউগুলি-লহমাতে-
বলি প্রাণ।
আকাশেতে ঢেউগুলি-শত রোল বোল তুলি-
নগরেতে শহরেতে-ধার ঘেঁশা সৈকতে-
তান্ডবে প্রাণ-
মাতে-
মেদিনীর হুঙ্কারে-গর্ভেতে জ্বালামুখী-
প্রকৃতির রোষাণল-ঝাকি দিল সাগরেতে-
হুঙ্কারে শত-
বল।
অসহায় জীবকূল-ধরা মাতা রাগে-
কিছু নাই করিবার-
কবি গানে-
কাঁদে।
প্রিয়কবি Dr Pritish Chowchury মহাশয়ের আজ প্রকাশিত অণু কাব্য "সোনালি যুগ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
"সোনালি যুগ"
আসিবেকি সেই ক্ষন যখন-তমসঘেরা গহীন আঁধার-
ঘুচে যাবে ক্রন্দন-দিবসেতে কিবা রাতে-
হা হুতাস সমীরণ।
তৃপ্ত প্রানেতে দীপ্ত শিখা সে-প্রেম ভালবাসা প্রীতি-
দিকে দিকে দিকে-সোনালি আলোক-
ধরা সম্পৃতি।
হিংসা ও দ্বেষ নাই-ভালবাসা দিকে দিকে-
জাতি বিদ্বেষ নাই-দুঃখের
রং ফিকে।
আমি কবি গেয়ে ফিরি-ক্রন্দনে অবিরত-
দয়া দাও দয়া দাও-মানুষেতে
সুখ শত।
প্রিয়কবি জয়শ্রী রায় মৈত্র মহাশয়ার প্রকাশিত "নিশুতি রাতে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
সঞ্চারণ
স্মৃতির দেশেতে বিচরন-সতত করি সঞ্চারণ-
গহীন অতীত-
অনুভবে দোলা পাই-কিছু স্মৃতি ঘোলা পাই-
হৃদয়ের দরবারে।
কালোমেঘ অন্তর-কেঁদে ওঠে মনপ্রাণ-
হৃদয়েতে ঝড় তোলে-
কালবৈশাখী।
দুচোখেতে ধারা নামে-শ্রাবনের বরিষণে-
অসনীত চাবুকেতে-হৃদপ্রাণ-
খানখান।
ঘোলাস্মৃতি দোলা দেয়-তবু কিছু-
ভোলা যায়-
উচ্ছাসে মনো মাতি-আল্হাদে হেসে উঠি-
প্রাণে ধরি সুখোস্মৃতি-প্রফুল্ল হৃদয়েতে-
প্রাণের স্পন্দন।
প্রিয়কবি রীনা তালুকদারের আজ প্রকাশিত এন্টি ভূতের ছড়া-১ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
কান্না
হচ্ছে ভয় গল্প শুনেই-কাঁপছে বুক দুরুদুরু-
এই বুঝি ভাই মামদো ভুত-
ঘেটি ধরে হামলা শুরু।
এইদিকেতে আঁধার বড়-ধরলে মেঠো পথ-
শাকচুন্নি ব্রম্হদত্তি-করবে
আমায় কুপোকাত।
ভীষম ভয়ে কান্না পায়-ভুতের গল্প করলে কেন?
বুকটা আমার ধরপরেতে-
প্রাণ বেড়িয়ে যাচ্ছে-
যেন।
বলছি মা আর কোনদিন-দুষ্টু আমি করবো না।
ভুতগুলিকে দুরে রাখ-
পাচ্ছে আমার-
কান্না।
প্রিয়কবি সৌমেন চৌধুরী মহাশয়ের লেখা হেঁয়ালি-৬ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
হেঁয়ালি
অরে বাবা অরে বাবা-এ নয় মোর কর্ম-
চার লাইন কবিতায়-ঝরি
গেল ঘর্ম।
অঙ্কটা গোলমেলে-তাই ভাবি নাই-
এর চেয়ে ঢের ভাল-
মুই কবিতাই।
হেঁয়ালিতে কাম নাই-ঘন বরিষণে-
চাল ডাল খিচূরিটা-মন
প্রাণ টানে।
ধরাতলে ঝরে পরে-টুপ টুপ টুপ-
টুলটুল বুলবুল-কর
তোরা চুপ।
ওইখানে কবিতাই-মন ঝরা বিদ্যুতে-
ভাল লাগে লিখে লিখে-সেইখানে
ধরা দিতে।
ঘামঝরা বাণী নাই-হেঁয়ালীর গল্প-
গলদের ঘাম নাই-লিখে
দিনু অল্প।