প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তপ্ত কড়াই" কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
। অভিমান
শব্দ সকল স্তব্ধ হোল-লুপ্ত হোল বাক্যবাণ-
এই ধরাতে কেমন বিধান-
দিলেন তুমি-
ভগবান।
জগ ধরাকে ভালবেসে-প্রাণটি মিলি সুখের তরে-
দুঃখ ব্যথা রুক্ষ জীবন-কান্না ঝড়ায়-
বারে বারে।
বিধি তোমার স্বর্ণডোরে-পরানমতি প্রশ্ন আমার-
এই ধরাতে সেই প্রাণেতে-বিধান দিলেন-
কান্না কেন-
দুরামতি পরান মেতে-উল্লাসেতে-
দস্যিদানো।
দশ্যু দানব বিধান কিরুপ-এই দরিয়ায় ভবের হাটে-
স্বর্ণদুয়ায় তাদের ধরা-সত্য বীণা-
সাগর ভাসে।
এই যদি হয় বিধান তোমার-মন্দ আমি তোমায় বলি-
নয়নতারায় সাগর নীলে-দুখ দরিয়ায়-
প্রাণটি মিলি।
তবুও দিলেম প্রণাম তোমায়-আদর করে শ্রদ্ধা ভরে-
দুহাত ঝড়াও তাদের তরে-
দুখ দুনিয়ায় এই-
সাগরে।
প্রিয়কবি দীপ্তি রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "বর্ষার বার্ত্তা" কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
পরিবেশ কেঁদে ওঠে-বলে আর আমি পারিনে-
আষারেতে ধারা দিতে-জল ভরা-
শ্রাবনে-
নিলিমাতে মন মেলি-অরন্য দেখা নাই-
উঁচু ঊচু ঘরবাড়ি-তার কোন-
সীমা নাই।
কালো ফেনা ধুমারাশী-বিষাক্ত কলেবর-
কল আর কারখানা-ঘনরব-
আবয়ব।
দিকে দিকে দুর দেখি-ধু ধু করা প্রান্তর-
তরু শাখা প্রাণ নাই-কেঁদে ওঠে-
অন্তর।
বিষাক্ত কার্বনে ধরা বায়ু সমীরণ-
গ্রীনহাউজ এফেক্টের ধরা-
বাঁধা ব্যাকারন।
উত্তাপ উত্তাল কেঁদে ফেরে শত প্রাণ-
শীহরিত হই ভয়ে-কাঁটা লাগে-
বিঞ্জান।
বাঁধ আর ব্যারেজেতে ধরা বড় বড় নদী-
বাদলের ধারা দিলে-জল ছেড়ে বন্যাতে-
টেনে আনে দুর্গতি।
ক্লুরোফ্লুরো ক্লোরিনেতে গগনের গতি নাই-
ওজোনের স্তর ভাঙ্গে-সূর্যের-
দোষ নাই-
বেগুনীতে ধরা আলো-ধরাপীঠে শত প্রাণ-
বলি হয় দিকে দিকে-ক্যান্সারে-
তনু মন।
মোবাইল টাওয়ারেতে-কাঁদে ছোট বড় পাখি-
বিকিরনে বিকিরনে-নীরবেতে-
প্রণোঘাতি।
তাই মন তনু মোর-ঘূনধরা প্রান্তর-
বিষাক্ত অবয়বে-ক্ষয়িষ্নু-
অন্তর।
প্রিয়কবি কায়সার মোহাম্ম্দ ইসলাম মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত কবিতা "বড়লোক যতো"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বাতি নাই
কোনো ঞ্জানি মুনি-কোনকালে বলেছিল-
মধ্যম পন্থা-
ভাল নাকি অতিশয় ভাল রয়-
প্রাণটা।
হিসেবের জাতাকলে অঙ্কটা মেলি-
কাঁদাজলে ঘুলেমিলে মেলা-
তোলা খেলি।
হিসেবটা মেলে নাকো-জটীল এই অঙ্কটা-
এর চেয়ে ইতিহাস পাতিহাস-
ভূগোলের ভাল-
কাঁটা।
ভূলভূলে জীবনেতে মধ্যের বৃত্য-
মাঝপথে ঘোলাজলে-
জীবনের-
নৃত্য।
নুন আছে তেল নাই-ধার বাকী প্রাণটা-
মেনে নেওয়া দারী নাই-
ঝকমকি গানটা।
কেউ যেন বোঝে নাই-ভেতরেতে সার নাই-
ঝকঝকে চকমকে-বেনারসী-
শাড়িটাই।
বছরেতে একবার দীঘা পূরী অল্প-
ব্যাঙ্কের বাঙ্কারে ঘরবাড়ি-
গল্প।
বাবুসোনা পড়াশুনা টেনশনে যায় প্রাণ-
থেকে থেকে তাই ভাবি-ভাল কি-
ওই মধ্যম।
বাঁধাধরা টাকা হাতে-জীবনেতে বারোমাস-
ডাক্তার ঔষুধেতে-জ্বলে-
প্রাণ হাহুতাশ।
বুদ্ধের ওই বাণী-কানে কানে বলি ভাই-
আধুনাতে মধ্যম-জলে ফুলে-
বাতি নাই।
কবিতা স্মৃতিসুধা প্রিয়কবি মৌটুসি মিত্র গুহ(কেতকী) কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তুমি দিয়েছিলে কথা
ঘনঘোর কুহেলীত ধূপ রদ্দুর ছায়-
ওই লাল বীথি-
কৃষ্ণচূড়ায়-
ওই সে মদীরায় গহনে কুঁজনে-
কায়া মন তনু সনে-
মিলেছিনু দুইজনা।
গহন তমসে মিলনো মধুরিমা-
সুর সঙ্গীত গীতি-শীহরণ তুলি-
প্রেম ভালবাস প্রীতি-
তুমি দিয়েছিলে কথা-
প্রিয়তমা।
আজি এ প্রভাতে-গুঞ্জনহীন প্রান-
কুঞ্জবনে বীথি বিরহন-রিক্ত এ ধরা-
বয় বেদনার ঢেউ-
তোমারি বাসরে তোমারি আসরে-
প্রিয়তমা তুমি কথা-
দিয়েছিলে।
শত ছলনায় সে মিলনো সে কথা ভুলি-
প্রিয়তমা দুরে চলি গেলে ছাড়ি-
এ মন মন্দির প্রাণ।
রিক্ত প্রাণ লাল-রক্ত ঝড়ায় কৃষ্ণচূরা-
প্রিয়তমা তুমি কথা-
দিয়েছিলে।
প্রিয়কবি সমীর প্রামানিক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দখল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ছলনাতে যদি ভোল নাই দুঃখ
সে নদী ভাঙ্গিল সে কূল-দুর্নীবার সংঘাতে-
ব্যথা লাগে অন্তরে-প্রতি রাতে-
প্রতি প্রাতে।
সময়ের ব্যবধানে ঋতুকাল রসায়ন-
নব নব চর মাঝে-
আগমণী আগমণ।
ওই পুব আকাশেতে-উষাকালে রবি লাল-
চর নদী চারনেতে-ঘুরে ফিরে-
প্রাতকাল।
সেই দেশে সন্দেশে-ভূলি নদী ভাঙ্গা গান-
নব প্রাণ উল্লাসে-নব নব-
রসায়ন।
প্রিয়কবি শরীফ আহমাদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এমনি করে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
এমনি করেই
এমনি করেই তোমার লেখা নিত্য যেন পাই
এমনি করেই লিখবে তুমি-
অনেক ভাল ভাই।
এমনি করেই লেখাঝোকা-প্রানটি দিও মিলে
এমনি করেই পড়ে যাব-
আমরা সবাই মিলে।
এমনি করেই লেখার বিষয়-মন্দ কিবা ভাল-
এমনি করেই সুবাস ছড়াও-
এমনি কবেই চলো।
এমনি করেই দেখবে কতো-বাড়বে তোমার মান
এমনি করেই লিখে লিখে-
বাড়বে সন্মান।
এমনি করেই দেশ বিদেশে-বাড়বে তোমার যশ-
এমনি করেই লিখতে থাকো-
কাব্যসুধা রস।
উত্তরে উত্তরে ২১ এ প্রিয়কবি রীনা বিশ্বাস এর কমেন্টের উত্তরে লেখা কবিতা
অনেক কান্না বুকে ঝড়ে অবিরত-
সে দান যে দিল ঈশ্বর মোরে-
প্রনামিতে শত শত।
সেই ধারা জলে মেতে-চাহি দ্বারে দিকে দিকে-
প্রতিদানে তারে দিতে-শান্তির বাণী দিতে-
দিকে দিকে দিকে দিকে-
সাম্যের গান।
তপ্ত এ ধরা মাঝে-লহুঝড়া সঙ্গীতে-
শান্তিরো ওঙ্কারে-কবিতারি
ঝঙ্কারে প্রতিক্ষণ।
সুরোগানে তারে বেঁধে-দিবানীশি অহঃরহ-
হিংসার আবহেতে-লহুঝড়া
সেই দেশে প্রদক্ষিণ।
ঈশ্বর মোরে দিল-যেন কানে বলে দিল-
লেখ লেখ লেখ-
শুধু লেখ।
সেই বাণী বুকে ধরে-আঁখিধারা বরিষনে-
নৈবেদ্য অর্পণ।