প্রিয়কবি সাইয়দ রফিকুল হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "রাক্ষুসে ক্ষুধা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। জবাব
মানুষ মেরে রক্ত যারা-ঝড়ায় ধরায় দিকে দিকে-
এই ধরনী কক্ষনো না-সোনার ফসল-
তাদের দিতে-
শয়তানির ওই সীমানাতে-খল চাতুরি ধর্ম মেতে-
এই ধরনী কক্ষনো না-সহায় হবে-
ক্ষমা দিতে।
হিন্দু কিবা মুসলমান-জৈন কিবা বৌদ্ধ প্রাণ-
মানুষ সবাই এই ধরাতে-মাতামহের-
প্রাণ সন্তান।
দিব্য যোগের সাধন বলে-বলছি কবি চোখের জলে-
তেলের দেশের শয়তানেরা-দিব্য জ্যোতির-
প্রকাশ মাঝে-খুব ত্বরাতে-
ভস্ম হবে।
মানুষ দিলেন এই বিধাতা-সত পরিবার বাঁধন তলে-
অশ্রু যারা ঝড়ায় তাদের-ছল চাতুরি-
ব্যার্থ যাবে।
ব্যার্থ যাবে ব্যার্থ যাবে ব্যার্থ যাবে।
মুসলমানের ওই রক্ত-ব্যার্থ কভু নয়কো ধরা-
আমরা মানুষ তাদের সনে-
জ্বালবো আগুন-
দিব্যধরা।
সেই আগুনের ফুলকি ধারা-শেলের আকার মারবো বুকে-
শয়তানের ওই কারখানাতে-রুদ্ধ ঘরে-
জবাব নিতে।
প্রিয়কবি Dr Pritish Chowdhury মহাশয়ের আজ প্রকাশিত শান্তির খোজ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শান্তিরো ভান্ডার
শান্তি বিরাজিত ঞ্জানে-অনন্ত শান্তিরো ভান্ডার-
কবিতায় দেখা পাই-হৃদমনে-
বারে বার।
ওইখানে শ্বশানেতে-বারে বারে চোখ পাতি-
যেন সুখ ধরা দেয়-লহমাতে-
পরিপাটি।
সেই দেশে বিচরণে-বিদুসিত আচরন-
মন মিলে দীপ্তিতে-প্রকাশেতে-
আলাপন।
আকাশেতে বাণী বয়-কান পেতে শুনি-
অহং অহং অহ্ং-কিছু নাই প্রাণে-
অহং দুয়োরানী।
দরোবেশে মন মিলে-দশপ্রাণে আলো ছাও-
হিসেবেতে অঙ্কেতে-শান্তিতে-
গুনে নাও।
সেই বাণী প্রাণে মেতে-জীবনেতে আলো পাই-
শত ঝড় ভৈরব-শান্তিতে-
গান গাই।
প্রিয়কবি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়(পীযূষ কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "পরিনাম" এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হারি নাই
জীবনের খেলাঘরে-ব্যথা সুখ দুখ সনে-
ঝড় তুলে মনে প্রাণে-ক্ষনে ক্ষনে
ক্ষ্নে ক্ষনে-সংসার কারাগারে-
ব্যথাতুর অন্তর।
কভু আনন্দ ভরা গানে-কভু বেদনার রাশী সনে-
গরলেতে প্রাণ মাতে-ভৈরবে মাতঙ্গ-
অশান্ত সমীরন-
সুখ দুখ লহরেতে-নির্মম প্রহারেতে-
যেন খুব মন মাতি-
জীবনটা কাছে দেখি-শ্বাশত-
আনন্দম।
ছেড়ে বাতি গতি নাই-ছেড়ে যাওয়া মতি নাই-
জীবনেতে কঠিনাই-কোন ক্ষতি ক্ষ্তি নাই-
নাই নাই নাই নাই-
শ্বাশত নিরন্তর।
দুঃখেতে প্রাণোভাতি-আনন্দে সুখে মাতি-
সুখ দুখ আলোছায়ে-দিবা কিবা রাত্র-
দম নাই দমি নাই-নাহি-
দমিবার পাত্র।
ভালবাসা আশাহত-হৃদভাঙ্গা শত কত-
শত শত শত শত-বেদনার-
রাশী ঢল-
অনন্তে প্রানে নীলে-গরলেতে মন ঢেলে-
আকুন্ঠ আহরণ।
সুখ দুখ রজ্জুতে-রাখি মনে মজ্জাতে-
হারি নাই হারি নাই-
হারি নাই-
নিষ্টাতে মন মাতি-বিহঙ্গে চোখ পাতি-
উত্তরণ।
প্রিয়কবি অজিত কুমার কর মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এলে অবশেষে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ঋতুরাজ
ঘন ভৈরবে ধরা দিল শেষে-প্রতিক্ষার অবশান-
তাপিত তৃষিত ধরামাঝে-
রিনিঝিনি রিনিঝিনি-
মৃদু বরিষন।
উল্লাসে মাতিল ধরা-সে ধারা বরিষনে-
নব পল্লবে বিকশিত কলি-
সে দারুনো বর্ষা-
আগমনে।
আগমনী গীতি দিকে দিকে রব-
সুবাসিত অন্তর-স্বাগত স্বাগত-
রানী সে বর্ষা-
ঋতুরাজ-
জলবাহিকায় প্রশান্তি মিলে-ধূ ধূ তাপিত প্রান্তর-
সজলো ঘন সমীরণে-তৃপ্ত মন-
প্রাণ অন্তর।
ঘন সবুজে ধরা কৃষিভুমি-লাঙ্গল ফলা টানে-
কৃষক মাতিলো সে মন-
ঘন বাদলো-
বরিষনে।
ক্ষরা রবিরো দেশে শান্তির বাণী-
ঘন সজলো বাদলেতে-
সাদরে বরনো রানী সে বর্ষা-
সঙ্গীতে সঙ্গীতে।
নদীখাল উছলিত প্রবাহি জলবায়িকার-
সেচ খাল ঢেউ খেলে-বারি দিতে-
ক্ষেতে ক্ষেতে ক্ষেতে ক্ষেতে-
উল্লাসে মেতে প্রাণ-
অববাহিকায়।
নব নব কিশলয়-বিদ্যুত খেলে প্রাণ-
জোরকরে ঋতুরানী-
লহ প্রণাম ।
প্রিয়কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "যখন আমি থাকবোনা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিষপান
সজল সঘন সরল সমাহিত প্রাণ অন্তর-
ওগো প্রিয়তমা-চলে যাবে সবে-
রহিবে না কেহ-
তবু-
বিধাতা দিয়েছে প্রেম অন্তরে-তাই ভালোবাসি-
ভালবাসি যা কিছু জাগতিক-
যা কিছু গার্য্য-
যা ধরা যায় যা ছোঁয়া যায়-
ছুয়ে যায় অন্তর।
জানি যেতে হবে একদিন এ মায়ার বাধন ছেড়ে-
বহু দুর-অনেক অনেক দুর-
যেদিন শত রব কোলাহলে-শত ছলনাতে-
পাবে না আমাকে-
পাবে শুধু-
অন্তর।
ভালবাসি-ভালবাসি তাই ছলনাকে-
ভালবাসি দুরুহ সে হৃদয়-
জানি কপট ছলনা-নাই-
দুখ নাই তাই।
মায়া মোহ ত্যগ করেছি সে দারুনো উপলব্ধিতে-
সে সিদ্ধিলাভে। জানি কপততা-
ছল ভরা তোমার-
ভালবাসা-
জাগতিক সুখের সন্ধানে আর-
জানি আমার সে সমৃদ্ধি-
ভ্রমর কলি গুঞ্জন।
আমি মধু তুমি পরাগ সন্দ্ধানি-
এই তো জাগতিক প্রেম-
জেনে শুনে করি-
বিষপান-
কারন আমি সিদ্ধপুরুষ।
জানি চলে যাব এ জাগতিক মায়ার বাঁধন ছেড়ে-
একদিন-আর তুমি-খুজে নেবে-
নতুন কোন পরাগ-
রেনু।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দন্তকথা-ব্যঙ্গো"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অ মা-মরি
দাঁতের কা-মানে কা-বায়ু ঠেলে ফোললাতে-
হা দৌড়ে গেল ভেগে-নী টা করে-
ফাজলামী-
ও-মা-গো-কিযে ব্যথা-
অ মা-মরি।
ছাতামাতা কুলকুলি-নাম পিতা নামাবলী-
কির্ত্তনে যাই ভুলি-নয়নেতে জলকেলি-
বেদনাতে প্রাণ।
দাঁতে পোকা-দাঁতে ব্যথা-মগজেতে পৌছায়-
আলোছায়ে আলো ম'ল-কালো-
ছায়ে ঝর্নায়-
অ মা মরি-কি যে করি-হায় হায়-
হায় হায়।
দাঁত ছিল বাহারি-করি নাই আঁচারি-
সেইদিনে বুঝি নাই-দাঁত ছাড়া-
গতি নাই-
আহারেতে বাহারেতে-ঘ্রাণেন শুখ্যম-
পারি নাই খেতে ভাই-
নাই নাই দন্তম।
ছাতামাথা চমচম-তুলো তুলো আলুদম-
মাংসেতে গতি নাই-নাই-
নাই দন্তম।
তাই বলি দাদা ভাই-দন্তম সখ্যম-
জীবনেতে গতি আনে-
ধুয়ে মুছে-
ঘষে মেজে-রাখো তারে-
মোক্ষম।