মুক্ত্ মনের লেখা।
নতুন ঠিকানা


দ্যাখ বুলবুল আমরা কেমন একোয়ারিয়ামে মাছ পুষি-
বাচ্চা বুড়া ধেরে খোকা-তাদের দেখে কতোই খুশি।
সারাটা দিন এদিক ওদিক-এক জলেতেই ঘুরতে থাকে-
বল বুলবুল বন্দী কেন-ওদের স্থান তো সাগর বুকে।
ব্রহ্মা ওদের কেনই দিলেন-এমন রূপ বাহার ওই-
অতল সাগর ভুলিয়ে দিয়ে-একোয়ারিয়ামে জায়গা দেই।
বলতো ওরা করলো কি দোষ-সাগর তুমি আমায় বলো-
এক সাগর কান্না ওদের-আমরা কি তার বুঝতে ভালো।
কিচির মিচির খাঁচার পাখি-কোন কথাটি বলতে চায়-
মন কি ভালো বল বুলবুল-আকাশপানে উড়তে চায়।
অসীম আকাশ যাদের সীমা-আকাশটাকে বন্দী কেন-
বন্ধ খাচায় দম ঘুটতে-কিচির মিচির কান্না যেন!
বন্দী বাঘ সিংঘ মামা-বন কাঁপিয়ে থাকতে যারা-
খাঁচায় পুষি চিড়িয়াখানায়-হুড়োহুড়ি দেখতে তাড়া।
বাচ্চা বুড়ো টিকিট কেটে-চিড়িয়াখানায় মনটি ভুলায়-
ভাবিস কি দুঃখ ওদের-মানবতা গেলই চুলায়।
বুলবুল তুই বন্দী হলে-এমন সুর তুলবি কি!
লিখতে গেলে শিসটি দিয়ে-ব্যঙ্গো এমন করবি কি!
মনটি আমার সদাই কাঁদে-দ্যাখ বুলবুল হলাম কবি!
এমন আজব ভাবনা মাথায়-দেখলে পরে আঁকতে ছবি।
তারচেয়ে বরং দুইপায়া সব-আছে অনেক জন্তু ঘোরে-
সমাজটাকে দূষণ করে-ধর্ষণেতে প্রাণটি কাড়ে।
সেই জন্তু বন্দী করে-চিড়িয়াখানায় দে না ঘর-
একটুখানি খাচাখানি-কাটতে ওদের জীবন ভর।
একটা লাঠি থাকবে সেথায়-সবাই দিতে দুইটি বাড়ি-
চল বুলবুল কাজে লাগি-চিড়িয়াঘর আমরা গড়ি।
জন্তু দানো রক্ষপুর-নামটি দিতেই লাগবে ভালো-
টিকিট হবে ১০ টাকা ওই-বলবে সবাই মারতে চলো।
এসব কথা ভাবনা কেনো-পাগল টাগল হলাম নাকি-
লিখছি শুধু আজব গাথা-কাজকর্ম দিচ্ছি ফাঁকি-
তুই বুলবুল আকাশ উড়িস-আমায় দুটো ডানা দে না-
হেপাক হোপাক ভাবনা মনে-একদম আর ভাল্লাগে না।
ভাবছি কেন হলাম কবি-বন্দী হলাম কাব্যমাঝে-
তুই বুলবুল শিসটি দিয়ে-সাজিস নিত্য নতুন সাজে।
হে ঈশ্বর পরম তুমি-আমার মাঝে মিলতে ডানা-
প্রণাম তোমায় মেনেই নিলাম-নতুন আমার এই ঠিকানা।


প্রিয়কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত পেলে কিছু সস্তায় কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সস্তা


সেই লালে রক্ত-ফিনকিতে কত্তো-
মন চায় দড়ি নেই-
কচুগাছে ফাঁসি দেই।
সস্তার পস্তানি গিন্নির মস্তানি-
কিছুদিন কচু গাছ-তারপর দেবো ফাঁস-
সস্তায় দড়ি কিনি-
ফাঁস দিয়ে টানাটানি-
পচা রশি ছিঁড়ে গেল-ধরটায় প্রাণ এলো।
আর বাবা যাবনা-
সস্তাতে নেবো না-
এইটাই গল্প-লাগে যদি দেব বেশি
লাগে যদি স্বল্প।