আজ থেকে পঁচিশ ত্রিশ বছর পর
তুমি কয়েক সন্তানের মা,
হয়তো হতেও পর দিদা ঠাকুমা,
আমি তখন হাসপাতালে বেডে,
মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছি রোগ আর বাধ্যক্য নিয়ে,
তোমার কানে মাত্রই পোছাল সে খবর,
তুমি ব্যাকুল হতে লাগলে সেই আগের মত,
এমন সময় কেউ নেই আমার পাসে,
ভাবছ তুমি বসে দুর দেশে।
পূজোর ঘরে প্রার্থনাটা চলছে একটু বেশি,
আমার সুস্থতার খবর পেলেই তুমি খুশি।
তোমার নাতনী বা তোমার ছেলে এসে
বলছে তোমায় কি করছ ঠাকুর ঘরে বসে?
তুমি তখন কাঁন্না কাঁন্না চোখে বলছ
মনটা খারপ করছে কি জানি কি ভেবে।
কদিন পরে কেউ তোমাকে ফোন করে
জানালো তোমায় হটাৎ করে শুভ্র গেছে ওপারে চলে,
তোমার তখন কষ্ট ভরা মনে,
শেষ দেখা হলোনা যাবার আগে।
মনকে তুমি শান্তনা দেবার ভাষা খুজে
রাতের পর রাত চলেযায় চোখ না বেজে।
আমি কষ্ট পেয়েছি তোমার হাতটা শুধু খুজেছি
শেষ সময়ে ও তোমায় ভেবেছি
তোমায় শুধু তোমায় ভালবেসেছি।
এমন একদিন হতেও আমাদের জীবনে,
কিন্তু কথা ছিল পাশেইরব জীবনের সব সময়,
দুপ্রান্তে দুজন থেকে জীবন করেছি কষ্টময়।
এখন তোমার বয়স কম,
তুমি কুড়ি পেরিয়েছ আমি ছাব্বিশের কোটায়,
এখনো সময় শেষ হয়নি,
চল দুজনে এক সাথে আবার পথ চলি,
আমার থেকেও আমাকে ভালবাস তুমি বেশি
চল নতুন সংসার গরে একসাথে ভাসি,
আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি।
কাঁন্না কাটি দিন না এনে হাতে হাত ধরি,
কষ্ট হয়তো হবে তোমার তবুও আমি বলি,
এখনো সময় শেষ হয়নি,নতুন সংসার করি।