আউশ-আমন-বোরো, ধান চাষে বড়;
সোনার বাংলার সোনার পল্লী মাঠে,
বিলে-ঝিলে জলাবদ্ধ নদীর বিস্তৃত তটে।
প্রযুক্তির গড়া ছাঁচে, উচ্চ ফলের আশে;
আউশ-আমনে নানান প্রজাতির চারা,
চাষীদের ধান চাষে বার মাসে তাড়া।
শস্য-শ্যামল দেশে, ধানের খেলা সব মাসে,
রোপিয়া ধানের চারা কৃষকের বুক ভরা,
স্বপ্ন আর আশে জীবন তাদের গড়া।
জীবন আশার দাস, সদা আশে পাশ;
থেকে থেকে দোল দেয় আপন মনে,
জয় হোক ক্ষয় হোক সদা আশার পানে।
ধান চাষ আর চাষী, স্বপ্নেরর চাষে বাঁচি,
প্রত্যুষে ঘুম ভাঙ্গে চাষী বউ চাষীর,
শুরু হয় কাজ স্বপ্ন-আশার ক্লান্তির।
টেক্কা দেয় চাষী, প্রকৃতিরর বৈরী অসী;
রৌদ্র বৃষ্টি তীব্র তেজে বৃষ্টি পরে অঝরে,
মাথাল মাথায় চাষী আপন কার্য করে।
অভিনন্দন চাষী, প্রকৃতি তোমার প্রেয়সী ;
প্রকৃতি হার মানে, জলদ দেয় ছায়া,
বায়ূ বর্ষিয়া বারি শীতল করে কায়া।
দিনের ভাটি, যায় হাঁটি হাঁটি ;
গোধূলী লগ্ন পড়ে সন্ধ্যার আগমন,
তবু যেন চাষীর কার্যে নেই অবসান।
প্রকৃতির কালক্রমে, চাষীর কায়িক শ্রমে;
সবুজ মাঠে ধানের শীষ মাথা শুধু নারে,
কৃষকের মনে স্বপ্নটা ডানা মেলে ঝারে।
অজান্তে শ্যামলী অঙ্গে, সোনালী রং রাঙ্গে;
পল্লী মাঠে ধানের শীষে সোনার আলো জ্বলে,
সে আলোতে কৃষকের মনে তৃপ্তি যেন মেলে।
পুলকিত অন্তর, সোনালী পল্লী প্রান্তর ;
সকল দুঃখ ব্যথা যত শ্রমের ভার,
সকলি ভ্রমে ধান ধন্যে পূর্ণ্য ভান্ড তার।
ধান মারাই করে, কৃষকের প্রাণ ভরে;
সোনার ধানে আঙ্গিনা উঠোন ভরোভরো,
আনন্দ-উল্লাসে চিত্ত পূর্ণ্য সরোবরো।


***"অন্তকীর্তি" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
কপিরাইট © ২০১৬ এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য