বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিক ও দার্শণিক " কবিতা" শব্দটিকে সঙ্গায়িত করেছেন। কবিতা হচ্ছে কবি মনের আবেগ,অনুভূতি, কিছু বস্তবতার রস, ইত্যাদির সামগ্রিক ছান্দসিক ইন্দ্রজালের মোহনীয় পংউক্তি যা মানুষকে কখনো আনন্দ,  কখনো বাস্তবিক রূপরেখা, কখনো সেসব জীবন দর্শণের শিক্ষনীয় বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকে।


কবিতা কিন্তু কবিতা লেখার নিয়ম দেখে বা পড়েই লেখা যায় না।
থাকতে হয় মনের প্রবল ইচ্ছাশক্তি, সাধনা, ভক্তি, শব্দ চয়ন, ভাষার শৈল্পিক ছন্দ বিন্যাস, অন্তঃ মিল, প্রভৃতি সব গুণ। তবেই সুন্দর একটা কবিতা উপহার দেওয়া সম্ভব।
আগে সাহিত্য বলতে পদ্য বা কাব্যিক রূপকেই বোঝাত। ইতিহাস বলি আর পৌরাণিক কাহিনী বলিনা কেন। সব পদ্যাকারেই লেখা হয়েছিল।
যাই হোক, আমার কথা সেটা নয়। আমার কথা হচ্ছে - কবিতা সাহিত্যের গুরুত্ব কী? লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যই  কী?
প্রকৃতপক্ষে মানুষ সাহিত্য আগ্রহের বশে ও আনন্দ লাভের জন্য পড়ে। সাহিত্য কারো মনোরঞ্জনের জন্য নয়। কারন মানুষ সাহিত্য বাধ্য হয়ে পাঠ্যপুস্তকের মত পড়ে না। আমিও প্রমথ চৌধুরীর মতই বললাম।
কবিতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই হওয়া উচিৎ। সেটা হল সাম্প্রতিক বিষয়ের সমস্যা, সমাধান, মন্তব্য, এবং উপদেশমূলক। কিংবা প্রাকৃতিক ভূপ্রকৃতিমূলক, আধ্যাত্মিক চেতনাসূচক। যেটাই হোকনা কেন, সেটা যেন মনবতার বিরুদ্ধ বা কাউকে অগ্রাসীমূলক নাহয়। সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।


যেন এমনটা না হয়, যে মানুষ খারাপ শিক্ষা বহন করে। পাঠকের মনোরঞ্জনেরর জন্য অপশব্দের প্রয়োগ হয়। যারা এধরনের কাজ করে, না তো তারা সাহিত্যকে জানে, না বোঝে। তারা সাহিত্যকে মনের খোরাক না মনেকরে পেটের খোরাক মনেকরে।