স্নেহময়ী অসংখ্য  টলমল  পাগলিনী পারা
সম্মুখে ছুটে যায়  দিগন্তে  গতিময় ধারা
কুলুকুলু ছন্দতে  নাচ করে  হাওয়ায় সোপানে
উচ্ছ্বাসী ঢেউগুলি  দোল দেয়  সোঁ সোঁ গানে
শ্রদ্ধায় মাথা ঠুকে  হাত নেড়ে  কই মাগো আসি
ওপার কে ভালোবেসে  চাক্ষুষে  যাই দেখে আসি।


এপারেতে এসে দেখি  নাই কোনো  বিভেদ আঁচলে
ভায়ে ভায়ে ভালবাসা  স্নেহটান  মায়া ছায়াতলে
আদরের গভীরতা  মারিয়ানা  খাদ ছুঁয়ে যাবে
জিভে জল মুখে হাসি  ইলিশের  মৃদু উত্তাপে
মাগো তোর কোল পাই  এপারেও  এলাইতে মাথা
আবেগের খাঁটি রঙে  জলছবি  রাঙা প্রতি পাতা।


আজ ফের সেইদিন  সেইক্ষণ  কাছে এলো ফিরে
আদর সোহাগ ছেড়ে  বাধ্যতে  মৈত্রী চেয়ারে  
ছুক ছুকে পার হই  যমুনার  সুবিশাল বুকে
জানালার কাঁচে দেখি  অনুভূতি  ছয়লাপ মুখে
মনে রবে চিরকাল  অনাবিল  প্রেম-খাতিরতা
সাদা বালিচর যেন  চিঠি লেখা  মসলিন পাতা।


দেখেও হয়নি দেখা  তুষ্টির  স্বাদ বহু বাকি
আবার আসবো ফিরে  কথা দিল  উপকূল পাখি
অনেক মমতা বোঝা  ঘাড়ে করে  ফিরে আসা ঘরে
স্মৃতির স্বর্ণখনি  পুঞ্জিত  কচি অন্তরে
ভালো থেকো প্রিয় সবে  সুখে থেকো  পদ্যের কোলে
সেলামে বিদায় নেয়  কনিষ্ঠ  আনকোরা ছেলে ।