দেখি বারেবারে মুখে চুপেচুপে
পেছন পানেতে চেয়ে
রূপের ছটায় চোখ জ্বলে যায়
আঠারোর কোনো মেয়ে
আপন মনেতে কিতাবের পাতা
পাঠ করে জোরে জোরে
জানলায় বসে উঁকিঝুঁকি মারি
ঘুম ভেঙে খুব ভোরে
ধোঁয়া পাল্লায় আড়ালে লুকিয়ে
দেখি অমলিন মুখ
ভালো লাগে তাকে খুব ভালো লাগে
শোরগোল করে বুক
বিদঘুটে ঠোঁট মৌনতা জপে
কি জানি কেমন ভয়
পেলামই বা কই তবু মন বলে
তাকে হারাবার নয়।


দেখি তাকে রোজ স্কুলে পাড়ি দিতে
ছাদের ওপর হতে
সাদা জামা পরে সাইকেলে চড়ে
ভেসে যাস বায়ু স্রোতে
বলি ফিসফিস বাতাসের কানে
গল্প জমজমাটে
কয় সেথা গিয়ে নাকি মুখ বুজে
থাকে ঐ হিংসুটে
অপেক্ষা বসি ফিরবে কখন
বিকালে মাঠের আলে
লাল রোদ মেখে রঙপরী ন্যায়
মেলে যায় খোলা চুলে
হাসিখুশি থাকি খেলে তার সাথে
জানালার কানামাছি
অচেনার ভিড়ে আমিও অচেনা
তবু ভারী কাছাকাছি।


দেখি বারেবারে মুখে চুপেচুপে
পেছন পানেতে চেয়ে
রূপের ছটায় চোখ জ্বলে যায়
আঠারোর কোনো মেয়ে।।