কবিতেও জাত ভাই কবিত্বে ভেদ
সৌখিন ঋদ্ধতে করো ভেদাভেদ
গুরুদিগ লিখে গেছে আবেগ ছাপিয়ে
আমরাও তাই লিখি বিবেককে দিয়ে
কলমের ধার জানি কম-বেশি হবে
সেই বলে ধনী দীনে বর্ণে চেনাবে  
কত শত কবিতার উন্মেষ ঘটে
চাপ,ক্ষোভ,কান্নায় সৌখিন খাটে?
হাতে গড়া মসলিনে ভাঁজ নাই মিলে
তাও ভাই বহু শ্রম তুমি দিয়েছিলে
কবি নাই বল তবু কারিগর আমি
সৌখিন শব্দটা বড্ড বেনামী!


              আমরা ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী, স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ, আবেগ, বিরক্তি বহু বিষয়বস্তুর উপর কবিতা লিখি।  কেউ নিয়মিত লিখি আবার কেউ অনিয়মিত।
সমস্যাটা হলো আমরাই নিজেদেরকে সৌখিন কবি ভাবতে আরম্ভ করেছি।  সত্যিই কি আমরা বিলাসিতায় লিখি, কবিতা লেখার কোন উদ্দেশ্য নেই?
যখন কেউ কলমঘাতে সমাজ বদলানোর চেষ্টা করে, বিদ্রোহ করে,আশার স্বপ্ন বোনে তাদের পাশে কি সৌখিন শব্দটি মানানসই।
   একজন লেখিয়ে তখনই কিছু লেখেন যখন উনার নিজের মনে হয় যে উনি কিছু নতুন সৃষ্টি করতে পারেন। বহু চোখের মাপকাঠিতে তা বিভিন্ন আবার নগণ্যও হতে পারে।  তবে এতে ওই ব্যক্তির আসক্তির শতভাগ আছে, এক শতাংশ ও কম নেই।  হয়তো  কেউ কালকের কাব্য জগতের নতুন নক্ষত্র।  তবে কি আজ তার শুরু সৌখিন কবি হিসেবে করা বাঞ্ছনীয়।
আর সত্যি কি কবিতার উচ্চতা অথবা কবির মানসিকতার কোন মাপকাঠি আছে যাতে সৌখিন ও সমৃদ্ধ কবির পার্থক্য নির্ণয় করা যায়?


যদিও কবিত্বের সংজ্ঞাটা আমার কাছে অজানা তবু মেনে নিলাম আমরা কবি নই, তবে গায়ে সৌখিন তকমাটা নিতে বেশ অস্বস্তিবোধ হয়।


আসরের সকল সদস্যকে প্রণাম, শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবাসা জানিয়ে প্রিয় কলমকে বিরতি দিচ্ছি।
নমস্কার।।