হৃদয়ের স্পন্দনে অমৃতের সুধা মানুষকে করাতেন পান,
তিনি-ই নজরুল সোহাগের পুতুল, গাহি তাহারি গান।
দারিদ্র্যের কালো ছায়া সংসার জীবনে হৃদয়ে দিত দোলা,
মনে হইত তিনি ভাবিতে ভাবিতে হইলেন আত্মভোলা।


তাই কী সত্য? সে দিনকার ভাবনা,যা ভাবিতেন একা বসে,
মনের কুটিরে আঁকিতেন আলপনা মানুষকে ভালোবেসে।
সেকালে কেহ চিনিত না তাহাকে বলিত আরেও নজরুল,
ভাবুকের মতো ঘুরছে সদায় রেখে লম্বা চুল।


ভাবিত না কেহ সুপ্ত আগ্নেয়গিরি নজরুলের মন,
অনিয়মের বিরুদ্ধে দাউ দাউ করে জ্বলিবে সর্বক্ষণ।
অসহায় নির্যাতিত সর্ব হারা দুঃখী মানুষের তরে,
গেয়ে গেলেন গান, দিয়ে মন প্রাণ সারাটি জীবন ভরে।


নিঃশ্বার্থে যিনি আজীবন শুধু গাইলেন মুক্তির গান,
হৃদয়ের পদ্মাসনে বসিয়ে করি তাহাকে সম্মান ৷
প্রেরণার উৎস আঁধারে আলো জ্বালালেন প্রতি ঘরে,
শিকল ভাঙ্গার গান শিখালেন বন্দি কারাগারে।


মরিতে শিখেছে দামাল ছেলেরা ভাঙতে শিখেছে বাঁধ,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখতে শিখেছে মিলে কাঁধে কাঁধ।
আনতে শিখালেন মুক্তির সূর্য আঁধারকে ছিন্ন করে,
তাইতো নজরুল উজ্জ্বল তারকা বাঙালির ঘরে ঘরে।
      
                       --সমাপ্তি--
                         (রচনা কাল- ০৮/০৫/১৯৮৫)