মানুষের বিচার মানুষ করে, মানুষই দণ্ড দাতা,
আদিকাল থেকে জ্ঞানীদের দ্বারা গড়ে উঠছে এই প্রথা।


অন্যায় ছেড়ে ভালো কাজের চর্চা করতে হবে প্রতিদিন,
সবার প্রত্যাশা সুশীল সমাজ গড়ে উঠুক দিন দিন।


সভ্য সমাজে কোন মানুষ যদি করে থাকে অত্যাচার,
হাকিম তাকে আদালতের কাঠগড়ায় করবেন বিচার।


চোখের সামনে জেদের বশে খুন করল যে বা যারা,
আদালতে বাদী মামলা করেন মূল আসামি ছাড়া।


বাদীর পক্ষের পরিচালকরা বৈঠক করেন মিলে,
মামলাটি কিভাবে জমে উঠবে, কাকে আসামি দিলে।


আদালতে সাক্ষ্য দিতে বেছে নেওয়া হয় কিছু লোক,
সর্বনাশা মিথ্যা সাক্ষীতে কাঁপেনা যার বুক।


বাদী পক্ষের পরিচালকরা পড়ান অনেক পড়া,
সাক্ষীগোপাল দোষী না যেন হয় আদালতের দ্বারা।


সাক্ষীগণের সাক্ষীতে বিচারক বিচার করেন কড়া
নির্দোষ ও নিরপরাধী যারা তারাই পড়ে ধরা।


খুন খারাপি ঘটলে পরে জানেন সর্বজন,
কে বা কারা আসামি হবে এটাই চলে গুঞ্জন।


আদালত যদি নিজ দায়িত্বে লোক পাঠান তদন্তে,
তবেই সম্ভব মূল আসামীকে আইনের আওতায় আনতে,

অপরাধকারীর অপরাধের যদি সঠিক শাস্তি হয়,
ন্যায় বিচার ও মানবাধিকারের হবে অনিবার্য জয়।


                        ---সমাপ্ত---
(রচনাকালঃ-১০/০৬/২০১৯)