আমাদের ইচ্ছায় প্রাগার্য শিশিরের স্বেদ জমে আছে,
মরুভূর সূর্যকিরণে তা শুকোবার নয়।
স্বপ্নের শেকড়ে আছে আদিবাসী অরণ্যের গান,
পরশুরামের কুঠারের আঘাতে তা স্তিমিত নয়।
অস্তিত্বে মহেনজোদাড়োর মৃৎপাত্রের প্রতিভা,
উদ্দালক জলের আক্রোশে তা অপসৃত নয়।


আমাদের জিহ্বায় হালাল পশুর মাংস, লবণের স্বাদু উৎসব।
আমরা ভূলিনি আজও নক্সীকাথাঁর স্বপ্ন,
লোকগাথা, ঠাকুরমার ঝুলি
রাক্ষস নিধনের সত্যিকার ‌গোপন কৌশল।


আমাদের মনে মনে মসলিন, কুটির শিল্প।
তাতের শব্দে আছে তিতুমীর, সূর্যসেন মাষ্টার দা
আমরা কি পড়িনি সেই দীনেশ দাসের চিঠি,
সাহসের সোনালী হরফ।


ভূলে গেছি বায়ান্নোর অনুভব সাতান্নোর স্মৃতি,
পেয়ারা বাগান থেকে উৎকলিত আত্রাই আবেগ।
আমরা কি ধুইনি মুখ শীতলক্ষার জলে, রক্ত রাঙ্গা হাত!
আমাদের লোক ইতিহাস জানি,
প্রগতির পুরোহিত, চিত্রল হরিণ।


আদিগন্ত আকাঙ্খা জীবনের শামাদান, শ্রেষ্ঠ উষ্ণতা
আমাদের চেতনায় আজও এক কারুশিল্পী,
নিদ্রাহীন কাজ করে স্বাধীনতা নিয়ে।
আজও দেখি পথের অন্ধকারে আঁকা হয়
সকালের রঙ্গিন প্রচ্ছদ।


আমরা কি পারবনা পার হতে ভাঙ্গনের ভয়ঙ্কর গ্রাস,
আবৃতি করতে সেই স্বজাতির স্তোত্র, কবিতা।