উত্তর কান্দি চেরাগআলী  দক্ষিন কান্দি কয় -
আপনার ছাগলে ফসল খায়ছে আমার কেমনে সয় !
আমির সাক্ষী ,রাহিম সাক্ষী খায়ছে আগার ফল ,
কষ্টে করে ফসল ফলাই , কষ্টে পড়ে জল ৷


দক্ষিন কান্দি রহমত আলী  চিল্লাইয়া কয় -
খায়ছে তোর ছাতার ফসল এতে দোষ নয়  ,
খাইছে - খাইছে তোর খেতের ফসল ঘরের টা নয় ?
ওপার পাড়ার গরিব তোরা , বেশি কথা কইলে তোরে করমু ক্ষয় ৷
রেগে রেগে চেরাগ আলী ভীষন জোড়ে কয় ,
আমার ক্ষেতের ফসল খেলো আমায় দেখান ভয় ৷
রহমত আলী অন্তর্বাহী ঢিল মেরে কয় কথা
যারে যা ছেচড়া ছাগল ! কি করবি দেখে নিবো বেটা ৷


রাতের আধার গরু আনলো রহমত আলীর ঘরে
গরু কাটলো , রান্না হলো খেলো মুরব্বীরা পেট ভরে ৷
চেরাগ আলীর গরু নাই  এ কথা কজন শুনে ?
সাপিলে রহমত আলী মারামারি হলো দুজনে ৷
নবাব পুরের নবাব চেয়ারম্যান বিচার করবে বুজে ৷
সকল - সকল উঠলো রহমত চেয়ার ম্যান বাড়ির খুঁজে ৷
চেয়ার ম্যান বাড়ির অতিথি ঘরে চেয়ারম্যানকে পেয়ে !
বিশ হাজার  টাকা দিলাম বিচারে  আমায়  করবেন জয়ে ৷
চেরেগ আলী কান্না ভেসে  ! চেয়ারম্যানকে  কয়
আমার বাড়ির ফসল - গরু রহমতের  দাতে চিবায় ৷
চেয়ারম্যান ওরে কাদিস না আর  --
তোদের দুজনের বিচার করবো  আগামী শুক্রবার ৷
বিচার শুরু শুক্রবারে চেয়ারম্যান বাড়ীর ঘাটে ৷
বানাই বানাই রহমত আলী শত মিথ্যা খুটে ৷
ওর গরু কি হয়ছে আমার দোষ কেন চাপে ?
কাল তোর সাথে ঝগড়া হয়েছে তাই ধরেছো চেপে !


চেয়ারম্যান এইবার কয়  বুজতে পেরেছি
ঝগড়া- ঝাটি করে তোমরা আঘাত পাইছো   মানছি !
তোমরা দুজন মিলে যাও তোমাদের আমি বলছি ৷
এরপর ঝগড়া হলে  শাস্তি দিবো বলছি ,


চেরাগ আলী তোমার  গরু খেক শিয়ালে খায়ছে
পাশের বাড়ির  জঙ্গলে মুরব্বিরা  দেখছে হাড্ডি !
তার পর ও  ঝগড়া চেরেগ তোরে করবো পান্ডি ৷
চেয়ারম্যানের বিচার  দেখে ফাটলো ব্যাথার বাসভ্রাস্ত ,
বিচার আছে সুবিচার নাই ,তাই হলাম  পথভ্রাস্ত ৷
এই কারচুপি  দেখে চেরেগআলী পাইলো বড় কষ্ট ৷