দক্ষিন জানালা তোমার চোখ কতদূর ,
যতদূরে তাকাও পাবেনা দেখতে সে চলে গেছে বহুদূর ৷
জানালার ফাঁকে সে রোজ দিতো উঁকি ,
আজ সে অন্য ঘর পেয়ে বড় সুখি ৷
নববধূ বেশে ঢুকার কথা ছিলো আমার ঘরে ,
আজ তার মূলধ্বনি উল্টা দিকে সরে ৷
এমনতো কথা ছিলোনা নিশিতে ভেজাবো চোখ !
না পাওয়ার বেদনায় কান্নায় ভাসাতে হবে বুক ৷
বুকের সাইক্লোন ভাঙ্গে বুক চিরে কামান ,
নিরবধির ছলনায় সবার দুঃখ কি সমান ?
কথা ছিলো শুধু বেকারত্ব কেটে গেলে সানাই বাজবে ,
আজ আমি বেকার নয় তবে বিরহতে সময় কাটবে ৷
মনে থাকবে আধার প্রমাণ কত রাত সে ছিলো !
চাঁদের মায়ার রাতের তারার আলিঙ্গন জমেছিলো ৷ইঁদুর-চিকা ঝোপেঁর আনাগোনাতে বিকট আওয়াজ ,
ভয় ছিলো না নিশি প্রলয়ে ভাবতাম প্রতিদিনের  রেওয়াজ ৷
গভীরে কেঁটেছে অফুরান্ত  কত রাত কত দিন
মায়াতে ভরিয়ে দিয়ে বুকে নিতাম স্পর্দন ৷
প্রাচীরে লেখা আছে জীবন্ত ছবির নমনি
দেওয়াল চিত্রে তাকালে মনে পড়ে সঙ্গম খানি ৷
দূরের পাল্লায় অজনা দিকে হারিয়েছে পথধ্বনি ,
কুয়াশার দূর ছাপ এঁকেছে তার ছায়া খানি ৷
এখন নিরাশ দেহ নিরাশ হৃদয় শোকে কাতর
জীবন পাল্টিয়ে সঙ্গমহীন বালিকার খোঁজে কাটে বছর ৷