জুদি পাহাড়!
তোমার শীর্ষে আজও আছে নূহের কিস্তি হে
ইতিহাসের নিরব সাক্ষি হয়ে বড় বিস্ময়ে।
আমি যেন দাঁড়ায়ে আজ তোমার চূড়াতে
চড়েছি হাজার বছরের ও আগে নূহের কিস্তিতে!
কে ঐ মরুর বুকে শুস্ক উষর ধূষর প্রান্তরে
গড়ে তুলছে মহাকালের বিস্ময়ের প্রথম নৌকা সে!
হেসে যায় অবিশ্বাসী বাঁকা ঠোটে চুটল হাসিতে
ভেবেছিলাম বোকা এখন দেখছি তুমি পাগলও বটে!
এই মুরুর বুকে নৌকা! হাসালে আবার যেমন করে
তোমার উদ্ভট আমন্ত্রণে হাসিয়েছ গত সাড়ে নয়শত বছরে!
হাসো যতটা পার সময়ই বলে দেবে কার হাসি কে হাসে?
বলে নূহু দৃঢ়তায় আকাশ পানে চেয়ে, প্রভুর করুণার আশে।
কতটা কাল নূহু সত্যের বাণী লয়ে ঘুরেছে দ্বারে দ্বারে
ক্ষমতার দর্পে দর্পশালী কওম তারে ফিরায়েছে উপহাসে।
বাপ দাদার রসম রেওয়াজ ছেড়ে তোমার এক আল্লারে
মানতে পারিনা মোরা সম্মুখে দন্ডায়মান মূর্তির দেবতা ফেলে !
জীবনের মায়া থাকলে সরে যাও পাগলে প্রলাপ রেখে
অগ্নি, কবর, মূর্তি, প্রতিমা ছেড়ে মানবনা তোমার প্রভুরে।
তবে তাই হোক -
নূহু তাকালেন প্রভুর পানে
হে আমার রব সত্য মিথ্যার চূড়ান্ত ফায়সালার আর্তি তোমার তরে।
প্রার্থণা মঞ্জুর
নৌকা বানাও
মহা প্লাবন সম্মুখে
তোমার পরিজন বাদে
কেউ উঠবেনা কিস্তিতে
সাথে সব প্রাণির জোড়া জোড়া।
প্রভুর ঘোষণা হয়ে গেছে কয়েক দিবস পরে
চুলা হতে উঠেছে পানি আকাশ ভরেছে বর্ষণে।
কিস্তিতে উঠে গেছে ঈমানদার প্রাণি জোড়া জোড়া
কিন্তু হায় একি কেনান যে যায় ডুবে!
উঠ কেনান কিস্তিতে অবিশ্বাসীদের অনুগামিতা রেখে
ডুবব না আমি সবচেয়ে উচু যে পাহাড়ে হেথা যাব পৌঁছে।
এমন কোন পাহাড় আছে আজ ডুববে না প্লাবনে?
উঠ কেনান পুত্র আমার উঠ উঠ।
হঠাৎ একটি ঢেউয়ের দেয়াল কেনান নূহের মাঝে।
সে অবিশ্বাসী তোমার পরিজন হতে পারেনা কভু
ইমানদারেরা তোমার পরিজন শোনালেন তব প্রভু।


ভেসে যায় নূহের কিস্তি প্লাবনের ঢেউ ফুঁড়ে
পবিত্র পাপের পৃথিবী আজ; প্লাবনে ধুয়ে মুছে!