-----------------------
বৈষম্য, কে তুমি? কেমন করে আসো?
কেমন প্রতাপে তুমি ওগো সুখ সাগরে ভাসো?
যুগে যুগে এ পৃথিবীর সব যন্ত্রণার ইতিহাসে
কালে কালে সব দেশে দেশে বঞ্চনার ইতিহাসে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে সব সয়ে সয়ে ব্যর্থ জীবনের বাঁকে
তুমি মিশে আছ মূল মন্ত্র হয়ে তুষ অনলের ফাঁকে!
কে পেরেছে রুখতে তোমায়, লাগাম ধরেছে কেবা?
যে গেয়েছে সাম্যের গান, কেতাবেই তা লেখা।
হায় লেলিন! হায় কাল মার্ক্স!
দেখ আজ যত তন্ত্র পঁচে গেছে ডাস্টবিনে
ক্ষুধাতুর শিশু কেঁদে মরেছে কুকুরের সাথে মিশে।
যেখানেই ছিল বঞ্চনার ইতিহাস সেখানেই রক্ত ঝরে
বঞ্চিত বেদনা বৈষম্য রূপে দুর্গন্ধ ছড়ায় ভূমে।
যুগে যুগে যত যুদ্ধ হয়েছে সাম্য ন্যায়ের তরে
বৈষম্য সেথা মূল কুশীলব ইতিহাস তা বলে।
দেখ চেয়ে ভাই কালো ক্রীতদাস ইতিহাসের পৃষ্ঠাতে
যুগে যুগে সব শ্রমিক কুলি-মজুর মরেছে তৃষ্ঠাতে!
বৈষম্য গিলেছে সাম্যকে হায় সকাল বিকাল রাতে
সাম্য হায় কবে হেসেছিল না জানি কোন প্রাতে?
খুঁজে কি পাও হে পথিক কোন সমান্তরাল সমাজ
পৃথিবীর ইতিহাসে কোন এক কালে সমতার কারুকাঁজ।
যদি পেয়ে যাও দেখ চেয়ে সেথায় সমতাই মূলমন্ত্র
বৈষম্য ছিল নির্বাসিত সেথা, ছিল জনের তন্ত্র।
কোন সে পথিক বলে ছিল হায় পৃথিবীর কোন প্রান্তে
ফোরাতের তীরে যদি মরে ভূখে কুকুর আমিই দায়ী দিনান্তে!
সেই সোনালী দিনে দৃষ্টি ফিরাও হে তাবৎ জ্ঞানী গুণী
কোন মন্ত্র সমতা ফেরায়ে এনেছিল তা শোনি।


কোন তন্ত্রবলে আজ নাফে নামে লাল রক্ত
কোন তন্ত্র বলে আজ আসাম সমাজ বিভক্ত
মানুষের পৃৃথিবীতে মানুষের নেই বসবাসের আবাস
কুকুর বেড়ালের জায়গা আছে শূয়োরেরও আছে নিবাস!
হায় মানুষ! হলে না মানুষ যদিও মানুষরূপী
শেয়াল কুকুর হাসে বসে পাছে তাহারাই নাকি সুখি!
ছিড়ে ফেল আবার যত বৈষম্য বিভেদের গেওনা গান
সাম্যের বাণি বুনে পৃথিবীতে গড় স্বর্গ সুখের বাগান।