একদিন আমাদের মসজিদে বেলালের আযান হত
সুবহে সাদিকের আগে যখন মোরগেরাও ঘুমাত
তখন মুয়াজ্জিন ডেকে যেত...
আস সালাতু খাইরুম মিনান নাউম...
সে সুর বিশ্বাসীর অন্তরে প্রেম জাগাত
প্রেমিককে পাওয়ার আশায় সে ছুটে যেত
সেই সব কঠোর কোমল ভোরের বেলাতে!
যখন তপ্ত দুপুর দুনিয়ায় কাজে মগ্ন সবে
তখন বেলালের আযান আবার ডেকে যেত
সে ডেকে যেত লম্বা ছায়াময় বিকেলে,  কিংবা মায়াময় সাঝের বেলায়
ডেকে যেত নিঝুম রাত্রি নামার ক্ষণিক আগে।
এ যেন প্রেমময়ীর আহ্বান
ষোড়শীর প্রেমে পড়া যুবকের মনেও একদা ক্লান্তি নামে
কিন্তু এ এমনি প্রেমের নহর যা বাড়তেই থাকে
এ তৃষ্ণার শেষ নেই যেন
পিপাসার্ত পথিক যত পান করে তত তৃষ্ণা বাড়ে
এ প্রেম চির যৌবনা যেন নব প্রেমের প্রথম প্রহর!
আমাদের মসজিদে এমনি করে প্রেমের গান হত
যখন রাত্রি নিঝুম,  গাছের পাতারা ঘুমিয়ে
তখন প্রেমের আমন্ত্রণে প্রেমিক দাঁড়িয়ে যেত মসজিদের বারান্দায়
মোনাজাতে দু'হাতে ভিজত প্রেমের জলে!
মোমের আলোয় বেজে উঠত কোরআনের সুর
এ যেন প্রেমময়ের চিঠি
যা কখনো পুরনো হয় না!
আমাদের মসজিদে এমনি করে প্রেমের ফল্গুধারা বইত
খেজুর পাতার শুকনো ডালার মসজিদে!


এখন মসজিদে খোদার প্রেম হয় না
তালাবদ্ধ মসজিদে রাতে প্রেমিক ফিরে আসে ধীরে
মন্ডা মিঠাই নিয়ে হররোজ ভাগাভাগি চলে
কোরআন খতমের ব্যবসা জমে,  খোদার ঘরে চলে স্বার্থের মহড়া।


আমাদের মসজিদগুলোতে এখন সবি আছে
শুধু প্রেম নেই, প্রেমের আশায় সেখানে কেউ আর যায় না
প্রেমহীন মৃত অন্তরে কেবল, লোক দেখানো হিসেব নিকেশ!