পুরনো গ্রাম
একটা নির্জন দুপুর
একটা শান্ত পুকুর
পুকুরে টলমল জল
এখানে কোন যান্ত্রিকতা নেই
মোবাইল নেই, টেলিফোন নেই
একটা বিদ্যুৎতের খুঁটিও নেই।
ইন্টারনেট যেন দূরের কোন গল্প
এখানে একটা পাতা ঝরে পড়ে
পাতার মর্মর ধ্বনি শোনা যায়
একটা শান্ত বিড়াল
ইঁদুর দেখে দৌড়ে যায়
পাতায় খঁচ খঁচ শব্দ তোলে।
সুপারি পাতার ফাঁকে মাকড়সার জাল
যেন প্রাচীন শতাব্দীর কোন শিল্পকর্ম
পথ ভুলে কিছু পতঙ্গ আটকে পড়ে জালে
দুপুরের এক খন্ড রোদে মাকড়সা হেঁটে যায়।
পুকুর পাড়ে উৎ পেতে আছে একটা গুইসাপ
একটা মুরগির ছানা দলছুট,  গুইসাপ প্রস্তুত!
পাকুড় গাছের ডালে বসে আছে শান্ত এক পেঁচা
একটা কাক কদমের ডালে ডেকে যায়
কিছু লাল পিঁপড়ের দল ছুটে পাতায় পাতায়
কালো পিঁপড়ে উঁকি মারে, শালিকের পানে।
একটি মরা ডাল
ঠক ঠক ঠক ঠক, কাঠ ঠোকরা ঠুকে
পুকুরে একটি বাঁশের লাঠি
বসে আছে এক মাছরাঙা দরবেশের মত
সতর্ক মাছের অসতর্ক মুহূর্তের অপেক্ষায়!
এক বালক
ঘুরে বেড়ায় বাঁধাহীন
ডুমুর গাছে, মাঠে ঘাটে এখানে সেখানে
সে নিরব দুপুরে পাখিদের গান শোনে
পুকুরে শান্ত জলে একটি পোকা ডুবে যায়
চঞ্চল বালক, পোকাটি তুলে আনে
একটা জীবন; হোক পোকার, জীবনতো!
এখানে এ মায়াময় গ্রামে জীবন শান্ত
জীবন সুন্দর,  জীবন পরিতৃপ্ত
এখানে নেই যান্ত্রিকতার তথাকথিত ব্যস্ততা
জীবন এখানের প্রকৃতির মত স্নিগ্ধ,  কোমল।