ঝরে যায় গাছের হলুদ পাতা
নিভে যায় জীবনের সোনালী খাতা।
এক দিন যৌবন ছিল সতেজ পাতায়
ছিল সবুজ,অবুঝ, কুসুম -কোমলতায়।


মরে গেছে হায় চির চঞ্চল ছোট্ট নদিটি
যে নদীর বাঁকে বাঁকে স্রোত বইত নিরবধি
মাঝি মাল্লারা গেয়ে যেত ময়ূর কন্ঠী নাওয়ে
অজানায় পাড়ি দিয়ে কোন দূর দেশে।


ফুটন্ত রক্ত লাল গোলাপ আজ হয়েছে ধূসর
নেই সে আর প্রিয়ার খোঁপায়, হয়েছে বিবর্ণ উষর।
নেই সে পূজার বেদীতে, আছে স্মৃতির ইতিতে
শুধুই হাহাকার,চারদিকে বার্ধক্যের অন্ধকার!


ময়ূরীর নেই এখন আর সেই নীল কন্ঠী রূপ
ভরা যৌবন জ্যোস্নায় ছিল সে যদিও অপরূপ।
পাহাড়ের চূড়ায় আর নেই সেই নৃত্য,
নেই তান, জীবন সায়াহ্নে মরণের গীতিনাট্য!


শোনেছি তাজেও আর নেই সেই যৌবনের শুভ্রতা
জমছে আস্তর ধীরে ধীরে, ধূসর হয়েছে হিরা,চুনি,পান্না
শাহজাহান যেখানে পিয়েছে মমতাজের প্রেমের পেয়েলা
সেখানে একদিন হায় জাগবেনা তাজের অপলক প্রভা।


তেমনি করে একদিন বার্ধক্য নামবে
আমার এ নয়ন জুড়ানো সুকোমল তনুতে
চামড়ায় নামবে ভাজ, ঝুলে যাবে চোখ
ক্ষয়ে যাবে স্মৃতি, জীবনের ইতি।


চেয়ে দেখ নিরবে হে ক্ষণিকের অতিথী -
বার্ধক্য নামে সবুজ ধানের ক্ষেতে
বার্ধক্য নামে মাঠে, ঘাটে, হাটে, পথে
বার্ধক্য নামে প্রিয়ার চোখে, মুখে,ঠোটে
বার্ধক্য নামে দিনের শেষে তিমির রাত্রীতে!