কবিতাতো একটি কুঁড়েঘর
নান্দনিক, অনিন্দ্য, লাবণ্যময় চিত্রকলা
কুঁড়েঘরের চারপাশে প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য
সবুজ বন, হলুদ পাখি, লাল ফুল
একটা নদী বয়ে যায় নারীর মত।
কবিতাতো কাঁশ ফুলের শুভ্রতা
কচুরিপানার ফাঁকে ডাহুকের ছানা
শান্ত পুকুরে এক অশান্ত সাপের ফণা।
কবিতাতো গাছের ডালে ঘুঘুর ডিম
বুনো কবুতরের ঝাঁক, শেয়ালের হাঁক।
কবিতাতো মায়ের স্নেহের আঁচলের মত
বাবার শাসনের মত তীব্র চাহনি।
কবিতাতো দিনের শেষে শিশুর হাসি
ক্লান্ত অবসন্নতায় প্রেমময়ীর আহ্বান।
কবিতাতো পাকা টসটসে জামের মত
কবিতা বৃদ্ধ চাষির মুখে আষাঢ়ে গল্প
ভোরের আজানের আগে মোরগের ডাক।
কবিতাতো ঝর্ণার কলকল বয়ে যাওয়া
আকাশে জেগে ওঠা রঙধনু, বাহারি মেঘ।
কবিতাতো শীতের সকাল
গ্রীস্মের দুপুর, বর্ষার রাত
কবিতা শরতের বিকেল, হেমন্তের মাঠ
কবিতা বসন্তের মত চির সুন্দরের গান।
এখন কবিতাগুলো যেন কেমন
ইট, পাথর, সিমেন্ট, রড দিয়ে গড়া
একটা কংক্রিটের জঞ্জালের স্তুপ ।
ওখানে শিশুর কান্না প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে
ভাব নেই, রস নেই, স্নিগ্ধতা নেই
ওখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না
একটা কাঠখোট্টা, বিষন্ন, আরোপিত অন্ধকার!