কলিং বেলটা টিপতেই
দরজাটা খুলে যায়
সেই হাসি মুখ, বন্ধু কেমন
আছিস কি খবর?
কি দেখছিস অমন করে?
কত বিশাল বাড়ি!
এ আর এমন কি
বস এখানে।
ভাবি ছেলে মেয়ে?
ওদেশেই আছে এ দেশের
যা অবস্থা
জানিসতো সব।
তারপর ও নিজের দেশতো
এ দেশ কি দেবে আর
বাদ দে ওসব।
তারপর কি খবর?
আছি এক রকম
বাসা ভাড়া বাজার করা
টানাটানির সংসার।
তুই তো একটু এদিক সেদিক
করলেই পারতিস।
সততা বিসর্জন দেব?
সে কি আর হয়।
এই যে এতক্ষণে ডলি আসল
এতো দেখছি কুকুর ছানা!
সুইচ থেকে আনা
মাত্র দু হাজার ডলার।
কুকুরের এত দাম!
অবাক হলি?
হবনা আবার।
অবাক হ ওয়ার কিছু নেই
ডলির পিছনে মাসে পঞ্চাশ হাজার।
পঞ্চাশ হাজার!
কি বন্ধু কোন সমস্যা?
না মাথা একটু ঝিম ধরেছিল।
অ আমি ভাবলাম কি না কি?
এই যে কমলা চা টা এদিক রাখ
কি করলি ট্রে টা ফেলে দিলি
ছোট লোকের বাচ্চা দেব এক চড়।
থাক না বাচ্চা মেয়ে
তুই জানিস না
একদম বদের হাড্ডি
সেদিন ওর বাসি খাবারগুলো
ডলিকে খাইয়েছে
সে এক বিশাল ধকল
সুইচ কুকুর
পুষ্টিকর খাবারে অভ্যস্ত।
তা মেয়েটাকে স্কুলে দে
সবার স্কুলে যেতে হয়না
জানিসতো সমাজের ব্যলেন্স
ঠিক থাকেনা এতে।
অ তাই নাকি?
আগে জানতাম নাতো
তা কত দিন থাকবি দেশে ?
বেশি দিন না
এইতো সামনের সপ্তায়
লন্ডনে সেমিনার
মানবাধিকার, শিশু অধিকার
গনতন্ত্র, নারী স্বাধীনতা
এসব বিষয়, অতিথী বক্তা আমি।
তোর চোখে জল!
ওসব কিছু না
মাথাটা ধরেছেতো তাই হয়ত
আজ আসি তবে
বিদায় বন্ধু।