যতদিন বেঁচে আছি নশ্বর
পৃথিবীতে
কোকিলের কহু কেকার ছন্দ
সুরে
শিমুল পলাশের লাল দেখে দেখে
মৌমাছির গুনজরে আম্র
মুকুলে।
হয়তবা এমনি করে স্রোত
বয়ে যাবে
পালতোলা নৌকা আর
কচুরি পানাতে
ভাটিয়ালি গানে কেউ
থমকে দাঁড়াবে
কৃষকের ক্ষণিক দরদি গলার
কন্ঠে।
হয়ত
পানকৌড়ি কালো পাখা মেলে
মাছরাঙার
সাথে মিছে আড়ি করে
ওড়ে যাবে দূর কোন
না ফেরা দেশে
হেথায় সাদা বকের
সাথে থাকবে মিশে।
হয়ত মেঘের সাথে সুরুজের
অভিমান
ঘুম পাড়ানি চাঁদ
এসে হাসবে অফুরান
বাঁশের পাতায় পাতায়
কিছুটা ঠোকাঠুকি
লক্ষ্নি পেঁচা করবে অকারণ
উঁকি ঝুঁকি।
এমন করে একদিন
মরে যাবে নদি
গাইবে না পাখি আর
থেকে যাবে স্মৃতি
তেমনি একদিন থাকব না আমি
শুধু থাকবে কথা আর
কান্না হাসি।