(গত ১১.০১.১৪ খ্রিঃ তারিখে ডেইলি স্টারে তীব্র ঠান্ডায়
কমলাপুর রেল স্টেশনের
পাশে পাতলা জামা গায়ে গুটিশুটি হয়ে বসে থাকা একটি মেয়ের
ছবি ছেপেছে। ছবিটি দেখে আমার
প্রচন্ড খারাপ লেগেছে। তাকে নিয়েই
কবিতাটি লেখা)


সোডিয়াম লাইটের মৃদু আলোতে
তীব্র কন কনে শীতের রাতে
আভিজাত্য মোড়ানো রাস্তার পাশে
গুটিসুটি হয়ে বসেছিল একটি মেয়ে।
কতই বা বয়স তার, চার কি পাঁচ
কিইবা বুঝে সে জীবনের সাজ
জীবন তার কাছে এক প্লেট ভাত
সাখে কাঁচা মরিচে কাটিয়ে দেয়া রাত।
ধানমন্ডি গুলশান বনানি বসুন্ধরা
যেথায় থাকে ধনির অবুঝ শিশুরা
যা যা আছে সেই ভাগ্যবান শিশুদের
তাদের কোনটির অভাব এ মেয়েটির?
অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাসে
রাষ্ট্রের মায়া কান্নার ভাজে
এ সব শিশুর খোঁজ কে রাখে
যাদের রাত কাটে খোলা রাস্তাতে।
শিশুটির চোখে জল নেই, হয়ত
মাটিতে পড়ার আগেই শুকিয়ে গেছে
সে এখন থর থর করে কাঁপছে
একখন্ড পাতলা জামা গায়ে।
যদি সে আমার বোন হত
কিংবা তোমার ভাই হত
আমরা কি পারতাম এভাবে
তাদের রাস্তায় রেখে ঘুমাতে?
তবু আমরা পারছি দিব্যি ঘুমাতে
আমাদের যে পারতেই হবে
মিছে জেগে থেকে কি লাভ তবে
এই সব মায়া কান্না কাঁদার!