শাপলা শালুকের গন্ধ মাখানো বর্ষা নামে ঐ
সেই খুশিতে দস্যিরা সব করছে যে হৈ চৈ।
কেউবা সুখে বরশি পেতে ধরে টেংরা পুটি
কারোবা আবার পিছলা মাঠে আছড়ে লুটপুটি!
পুবের হাওয়া বইছে জোরে ঢলের পানি ছোটে
মাঠে ঘাটে বিলে ঝিলে পানির স্রোত ঐ উঠে।
দ্বীপের মত সারি সারি বাড়ি গুলো লাগে
তারি মাঝে ডিঙি নৌকা বাধাঁ আছে ঘাটে।
জ্যোস্না ভেজা বিলের ধারে মন আনচান করে
চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে ঢলের জলের মাঝে।
কে জানি গো বাজায় বাঁশি ডিঙি নৌকায় বসে
গভীর রাতে তারি সুরে বানের পানি হাসে।
গাঁয়ের বধূ আলসে বসে নকশী কাঁথা আঁকে
গোপন বেদন আঁকে যেন গভীর মমতাতে।
আধ মূখে কাঁদছে একা কৃষাণের ই ছেলে
নেইকো ঘরে একটু দানা কৃষক ভাসে জলে!
বরশ আসে হরশ ঢেলে শাপলা ফুটা জলে
বিধাতাও তাকায় যেন ভীষণ মুগ্ধ চোখে।
তারি মাঝে দুখের কেতন ক্ষুধার যন্ত্রণাতে
কেউনা যেন চোখটি মুছে গভীর নোনা জলে!