কাক
ডাকা ভোরে ধূয়া উঠা কাপে আলতো চুমকে
এক হাতে টাই বাঁধা আরেক হাত
শুকনো বিস্কুটে
ছেলেটা এখনো ঘুমে জানালা বেয়ে আসা ভোরের
হিমে
নস্টালজিক চাওয়া শেষে দরজায় হাত
রেখে বিদায় প্রিয়ে!
ধূলায় ধূসরিত অচেনা হয়ে যাওয়া চির
চেনা রাজপথ
কুকুর আর টোকাই
ভাগাভাগি করে ঘুমানোর
নিয়েছে শপথ!
ডাস্টবিন
থেকে আসা অজানা গন্ধে কবিতারা ডানা মেলে
কবে হায় দেখেছিলাম শিমুলের
লালিমা সেই স্মৃতি আসে ধেয়ে।
বাদুড় ঝোলা হয়ে সূর্য উঠার
আগে উঠেছি সাত নম্বরে
স্টুডেন্ট পরিচয়ে পাশের
ছেলেটা ঝগড়া করে দম্ভভরে!
ম্যাডাম খেপেছে খুব কি ব্যপার চোখ
নাই দাঁড়িয়েছেন খুব ঘেঁসে
মান বুঝি যায় যায় চেয়ে দেখি নিরুপায়
পকেটমার তাকায় হেসে!
জ্যাম জেলি পেরিয়ে তড়াক
অফিসে ঢোকে বসের কাষ্ট হাসি
কি সব করেছেন হে ছাইপাশ লিখেছেন
কিছুই তো হয় নাই
ক্লায়েন্টদের ভীরের মাঝে চুটল গল্প
বলে পাশে থাকা কলিগে
কি মিয়া কত
দেরী দাড়িয়ে আছিতো বেশ
ভরে উঠে নালিশে!
সূর্য ডোবেছে কখন কাজের শেষ
কখন সেতো হায় জানিনা
অফিস শেষ করে ঘামে ভেজা শার্টের
ফাঁকে অনুভূতি খুঁজিনা।
আবার বাদুড় ঝুলে হাক ডাক
ঠ্যালা খেয়ে চড়েছি সাত নংয়ে
পাশের বাজারে ফরমালিন মাছ
কিনে হাত রাখি কলিং বেলে।
বিছানায় যাওয়ার আগে অবশিষ্ট
সময় বলে কিছু ভাই চাই লিখা
তখন আনমনে কল্পনার
ফানুসে যা লিখি তা যদি হয় কবিতা।
তবে আমি হয়ে যাই নাগরিক কবি!