ওগো শিরীষের পাতার
ফাঁকে বয়ে যাওয়া বাতাস
প্রথম সকালের প্রথম
লগ্নে কিংবা তপ্ত দুপুর পার
হয়ে স্নিগ্ধ বিকেলে
হিম একে যাও নিশীত রাতের বনে।
তুমি কি চুমেছ আমাজান হোয়াংহ
নীল নদ? কিংবা ছুয়েছ
ভাগীরথী গঙ্গা যমুনার নীল জল!
তুমি কি এসেছো ভারত সাগর
হয়ে বঙ্গোপসাগরের বুকে?
কালো দ্বীপের আন্দামান
হয়ে সেন্টমার্টিনের কাছে।
তুমি কি দেখেছো নেবুচাঁদ নেজারের
ঝুলন্ত উদ্যান?
সপ্ত আকাশের সপ্ত বিস্ময়
কিংবা সাহারা মরুদ্যান।
তোমার বয়ে চলায়
সেতেরা হেলাল
দোলে উঠে ক্ষণে,
লাইলি মজনু, শিরি ফরহাদ
কেঁপে উঠে আনমনে!
তুমি কি মেখেছো তাজের
হাসি কুতুব মিনার পার হয়ে
ডালিম বেদনা আনার
হেসেছে আঙুরের আমন্ত্রণে!
ও বাতাস, তোমার বয়ে চলায়
আমি যেন দেখিনা ফুলেদের
ঠুকাঠুকি
আমি যেন দেখিনা পাতায় পাতায়
নিদারুন মাতামাতি।
আমি যেন
দেখিনা কুমড়ো ফুলে ভ্রমরের
ওড়াওড়ি
ধানের ক্ষেতে ঢেউয়ের দোলায়
ফড়িংয়ের মাতামাতি।
আমি যেন তোমাকেই দেখি-
যে রূপ দেখা যায়না ছুঁয়ে যায় আমার
কল্পনা!