আমি যেন বুনোফুলের রেণু হয়ে
ছুটে চলেছি ঐ মেঘ পাহাড়ের গায়
যেথায় দূরন্ত বালিকার উচ্ছল হাসিতে
ঝর্ণা বইছে সেথা বড় নিরালায়!
সুপারি পাতার ফাঁকে এক ফালি চাঁদ
বড় লাজে মিশে আহা দেখে জলপ্রপাত
পাথুরে পথের বাঁকে বসে অজগড়
তেড়ে মেরে শ্বাস নেয় লাগে মনে ডর!
এই খানে এই রূপময় শৈল চূড়ায়
কেগো বসে ডালিম বেদানা কুড়ায়
এসেছে আনার কলি আনারের ঝুলি হাতে
সেলিম মজেছে আহা প্রেমময়
তারি সেরে।
পাহাড়ী ফুলের ঘ্রাণে থমকে দাঁড়ায় ও
কে?
ধ্যান ভেঙে লাজে মরে বৌদ্ধের
সন্ন্যাসে।
ক্লিউপেট্রার বাঁকা হাসে ভাঙেনি যাদের
ধ্যান
মৌনি গিরির কাছে তাদের
মৌনতা ভেঙেছে যেন!
রূপকথা রূপ ধরে এসেছে লুকায়ে হায়
থেমে গেছে এইখানে লতানো লতায়
পাতায়
দৈত্যের জারিজুড়ি দেখে হাসে নীল পরি,
খিল খিল পান খেয়ে হাসে ঐ ডাইনী বুড়ি!
ফুলের রেণু আমি ছড়িয়েছি নীল পাহাড়
ফুলে ফুলে গেঁথে যাব ফুলের ফুল বাহাড়
সকালের সোনালী রোদ নেচে যাবে ফুলের
গায়
মুক্তো দানা হয়ে ঝরে যাবে শিশির
কণায়!