উৎসর্গঃ কবি আল মাহমুদকে
- - - - - - - - - -
জীবরাইলের ডানায় ভর করে কে তুমি স্বাপ্নিক কবি?
মায়াবী পর্দা দোলে উঠে মহাকালের অভিযাত্রায়।
আরব্য রজনীর রাঁজহাস উড়ে কল্পনার আকাশে,
বক্তিয়ারের ঘোড়ায় চড়ে চলেছ যুদ্ধের মঞ্চে।
উপমহাদেশের নদীর ভেতরে নদীর কান্নায়,
ধূলি ওড়ে পানকৌড়ির রক্তে ভিজে বালুচর!
কাবিলের বোনের নিরব বেদনায় বাংলাররূপ
সোনালী কাবিন ছিড়ে খায় যৌতুক ব্যবসায়ী!
না কোন শূণ্যতা মানিনা বলে করেছো চিৎকার,
যদিও সৌরভের কাছে পরাজিত তুমি
বিচূর্ণ আয়নায় দেখেছো বেদনা ক্লিষ্ট মুখ
দ্বিতীয় ভাঙনের আগে প্রেম চেয়ে ফুলের কাছে, পাখির কাছে।
নীল মসজিদের ইমাম হয়ে অবুঝ রমণীকে বলেছিলে -
কোথায় হারিয়ে এসেছো বুকের সেফটিপিন!
উড়াল কাব্যে উড়ে যায় প্রেম প্রকৃতির দ্রোহ আর প্রার্থনার কবিতারা
লোক লোকান্তরে ছড়ায় তোমার প্রেমের গল্প।
তোমার কবিতা না শোনেই ঘুমিয়ে পড়েছিল মাওলানা ভাসানি
কিন্তু তুমি যখন বলেছিলে - অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
তখন কত জনের মাথা নষ্ট হয়েছিল তা হয়ত জানোনা
কালের কলস ভরে উঠেছিল তোমার কবিতা রসে।
হে ডানাওয়ালা মানুষ, অসীম সাহসে কলস ভাসিয়ে চলেছ তুমি
পানজাবীর পকেটে রেখেছ নদি, ফুল,পাখি আর ভরা জ্যোস্না
মাংসের গোলাপ হয়ে ডেকে যায় ময়ূরীর মুখ
ক্ষণিকের জন্য তোমার চোখ খুঁজে ফিরে মিথুনরত দুটি কবুতর!