একদিন এই বাংলায় শুকুনেরা থেমেছিল কিছুকাল
শ্বেত কপোতের গায়ে এঁকেছিল ওরা রক্তের লাল।
তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়ে আঁচড়ে বিক্ষিপ্ত পলি মাটি
ঠোকরে ঠোকরে ছিন্ন ভিন্ন সবুজ ক্ষেতখানি।
ওরা হায়েনার রক্ত পান করে কলমি ফুলের দেশে
এসেছিল ফিরিঙ্গী বর্গী লুটেরা, দস্যু তস্করের বেশে।
যেখানে উড়ে যায় গানের পাখি কোকিলা বুলবুলি
সে আকাশে দেখিয়েছি ওরা শুকুনের বাহাদুরি!
ওরা জানে না এ আকাশে লেখা ভালোবাসার কবিতা
সৌহার্দ্য সম্প্রীতির প্রাচীরে আঁকা বাঙালীর স্বপ্ন গাঁথা।
যে আকাশে ওড়ে শালিক ফড়িং চড়ুই প্রজাপতি
সে আকাশে আজ বোমারু বিমান, ক্রোধ কোথাতে রাখি?
তারপর -
মরা নদীতে জোয়ার জেগেছে ফুটেছে বকুল ফুল
বীর বাঙালী অস্ত্র ধরেছে ভেঙেছে শীতল ঘুম।
শালুক শাপলার গায়েতে লেগেছে লাল রক্তের ছিটা
শুকুনেরা ভয়ে পালায় দূরে, খাঁটি নয় ওরা চিটা!
দুধকুমারের বুকেতে কে যেনো গো আগামীর কথা কয়
ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি দাম দিয়ে কেনা, আর নাহি কোন ভয়।
শুকুন গেছে বীর বাঙালি গাইছে বিজয় গাঁথা
পত পত করে উড়ছে দেখ শান্তির পতাকা!