বিপাশা নদীর তীর হতে ঝিলমের বাঁক ছুঁয়ে
হিমালয়ের বক্ষভেদী চলেছ কোন স্বর্গপুরে?
হে অতিথী নিরব নদীর মত শান্ত স্নিগ্ধ আবেশে
তোমায় হেরেছি জাফরানের সুগন্ধ জড়ানো পাপড়ীতে।
সুবহানআল্লাহ সুবহানআল্লাহ কে যেনগো সুর তোলে
তোমার চাঁদ বদন হেরে পূর্ণ যৌবন জোয়ারে ভেসে ভেসে।
অচেনা সমুদ্রের কোন এক অচেনা লবঙ্গলতার দ্বীপে
আমি যেন দাঁড়ায়ে অন্ধকারে বিশালতার কাছে অসহায়ে
সেথায় কে তুমি নক্ষত্রচ্যূত কোন এক মায়াবী নক্ষত্র হয়ে
দাঁড়ালে আমার পাশে আধো লাজে আনত নয়নে হাস্য বদনে।
সুবহানআল্লাহ সুবহানআল্লাহ কে যেনগো সুর তোলে
দূর পাহাড়ের অবুঝ পাপিয়া গেয়ে যায় কানে কানে।
ডালিম দানার মত মুক্তা ঝরা শুভ্র কল হাস্যে
রূপকথার প্রজাপতির মত উচ্ছলতার প্রকাশ্যে
তুমি যেন ওড়েছ কাস্মীরি পাহাড়ের চূড়া ফুড়ে
আমার কল্পনার আকাশে এ মুগ্ধ নয়ন জুড়ে।
সুবহানআল্লাহ সুবহানআল্লাহ কে যেনগো সুর তোলে
ঝিলমের বাঁকা স্রোতে সে সুর ভাসে অন্তরে অন্তরে।