- - - - - - - - - - - - -
আজি হতে শত বছরেরও আগে
কে তুমি রবী লিখেছ বসে অমর কবিতাখানি
ফাগুনের রক্তিম আবহে ভেসে যায় ছন্দে সুরের ডালি।
কে তুমি হায় ছড়ায়েছ গগনে নব নব গান সুরের বাণি?
মৌন গিরির সব ধ্যান বুঝি একাকার আজি এ বাণির লাগি।
দূর বনে থেমে গেছে চঞ্চলা হরিনী কান পেতে শোনিছে কাব্যফুল
ব্যাঘ্রের আজ যেন তাড়া নেই ব্যকুল আকুল হয়ে হেরিছে ছন্দ সুর!
কে তুমি কবি স্রস্টার সাথে কানে কানে গোপনে প্রেমের আবহে
ভাবের আকাশে উড়ায়েছ মাত্রা, স্বর, অক্ষরের নিপুণ কারুকাজে!
কাহার মনে দোলা লেগেছে কাহার দিলে নেমেছে প্রেমের দ্যূতি
দেখনি চাহিয়া হে নিঠুর হে সুন্দরতম সুন্দরের প্রেম পূজারী!
কোন সাধকের তালা খুলিছ কোন পথিক পথিমাঝে হয়েছে সাধক
গেয়েই গেলে কোকিলের মত দেখিলেনা ফিরে হেরিছে কত চাতক!


চন্দ্রের গতরে কালিমা লেগেছে সেতো ছিল হায় সেই লাজে
তোমার কাব্য শোনিতে আসিয়া আরো যে কালির আচড় লাগে।
ফুল ভেবেছিল এতদিন ধরে তাহার পাপড়ি কুসুম কোমল
হায়রে কবি তোমার কাব্য আজ ভাঙিয়েছে তার সেই না ভুল।
আফ্রিকা রাণী হেলেনের রূপে এ জগতে হায় অন্ধ প্রেমিক
কি বাণি কবি বুনেছ তুমি হেলেনে আজ চলিছে বিদ্বিক!
মজনু চলিছে লাইলির পানে বোখারার ধূলি শুঁকে শুঁকে
হায়রে লাইলী সব ভুলে,মজনু এখন কবির তখতে মাথা লুটে!
তারপরে কবি শতবর্ষ পরে কাজীর বেটা পড়িছে বসি
বড় আনমনে গভীর আবেগে তোমার লেখা কবিতা খানি।
নার্গিস এসেছে শিয়রে তাহার শিউলী মালার পসরা সাজি
কে চাহে হায় কাহার পানে কাব্য অনলে জ্বলিছে কাজী!
সূর্য ভেবেছিল তাহার তেজে জগতে আনিবে নয়া তুফান
হায়রে তাহা বৃথা কল্পনা বিদ্রোহের পালকে ডাকিছে বাণ।
খুন ঝরিছে কাব্যের পালকে ছন্দেরা হয়েছে নাঙ্গা তলোয়ার
কাটিছে তাহারা পাপের পৃথিবী উড়ায়েছে পাখা শ্বেত বলাকার।
যুদ্ধের মঞ্চে রাজার কুমারী কেনগো আজ পাগল পাড়া
শুত্রুর বুকেতে খঞ্জরের বদলে প্রেমের পেয়েলা বাড়ায় জ্বালা!
কাউসারের পেয়েলা পান করেনি পিয়েছে হায় কাব্য সুধা
অমর ফুল ফুটিল বুঝি কবির চেতনে লাগিল তাহা।
শত্রুর সামনে আজ যেনগো রক্ত নয় রক্ত গোলাপ
পিষেছে মাটিতে বজ্র নিনাদে হিংষা নামের মিছে অপলাপ।
আজি হতে শত বছরের আগে লিখেছ কবিতা হে রবী হে কাজী
আমিতো পড়েছি মুগ্ধ নয়নে দু নয়ন যেনগো ধরেছে বাজি!
পরানে পশিলে কিসের মায়া কিবা সুর হায় দিয়েছ ঢেলে
আমিতো হায় বিস্ময় ভরে পড়ছি তাহা শত বর্ষ পরে!