বীজ নিবেন বীজ
নানা রকম ঘৃনার বীজ
ধর্মের, বর্ণের, উন্নাসিকতার, হীনতার, নীচতার
সভ্যতার দ্বন্দ্বের অসভ্য দ্বান্দ্বিক বীজ।
আধুনিক গবেষণাগারে প্রস্তুতকৃত
মানসম্মত ল্যাবে পরীক্ষিত
অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় আহরিত
উচ্চ ফলনশীল ঘৃণার বীজ।
আগাছা রূপি স্নেহ ভালোবাসার সাধ্য নেই
এ ঘৃণার বীজের নূন্যতম ক্ষতি সাধন করার।
এ ঘৃণার বীজ রোপনের সময়
উৎকৃষ্ট সাম্প্রদায়িক ভূমিতে দিতে হবে
কিছুটা হিংসা বিদ্বেষ, কুৎসা, রটনার মিশ্রণ
নিড়ানিতে গীবত, চোগলখোরি, অপবাদের রস।
তারপর একদিন
এ ঘৃণার বীজ হতে জন্ম নিবে ঘৃণার চারা
চারার গোঁড়ায় দিতে হবে বিভাজনের সার
একদিন চারা বড় হবে লকলকিয়ে
জন্ম নিবে এক সুবিশাল ঘৃণার বৃক্ষে।
সমাজের তাবৎ নষ্টামি ভণ্ডামি
গুন্ডামী,  বদমাশি, গোয়ার্তুমি হবে
এ ঘৃণার বৃক্ষের নিত্য দিনের খাবার।
ঘৃণার তলদেশে জন্ম নেবে কালের ডাকাতেরা
ঘৃণার ছায়ায় পুষ্ট হবে দুষ্টের দল
ঘৃণার বৃক্ষ হতে জন্মাবে হরেকরকম ফল।
সে ফল ছড়াবে লোভ, লালসা, নিষ্ঠুরতা
মানুষকে বানাবে মানুষের ক্রীতদাস
কেউ করবে চামড়ার গর্ব
কেউ করবে মতের গর্ব
কেউ করবে ধর্মের গর্ব
কেউ করবে মর্যাদার গর্ব।
কেউ কেউ বলবে আমরাই শ্রেষ্ঠ
আমাদের মতবাদ, সভ্যতা, সংস্কৃতি
চলন, বলন, ঠাট বাট
বাকিরা উদ্বৃত্ত,  অচ্ছুৎ,  উচ্ছিষ্টভোগী।
এ পৃথিবী শ্রেষ্ঠদের পৃথিবী
বাকিরা নাগরিকহীন হবে কিংবা সমুদ্র ডুবে মরবে
বেঁচে থাকলে পশুর মত বেঁচে থাকবে
আমৃত্যু শ্রেষ্ঠদের পা চেটে।
ঘৃণার উপর দাঁড়িয়ে থাকবে ক্ষমতার মসনদ।
বিশ্বের ক্ষমতাবানেরা চায় ঘৃণার বীজ
ওদের হৃদয়ে ভালোবাসা নেই
ঘৃণার বীজ তাজা করে ক্ষমতার ময়দান।