কত সুন্দর অনিন্দ্য অদ্ভুত
সৌর লালিমা মাখা সুনিপুণ পৌরুষ।
হায় জুলেখা!  তুমি পাগল হয়েছ সাধে?
কি তাঁর রূপ! কিবা তাঁর খুন করা হাসি!
যে দেখে হায় তাঁরে বলে ভালোবাসি।
হায় মিশরের ললনাকূল
এমনি হলে আকুল
কোথায় সব্জী রেখে
কাটলে নিজের আঙুল
সম্মুখে দাঁড়ায়ে মাটির ইউসুফ
তোমরা ভেবেছ যারে দেব পুরুষ।
ইউসুফ!  খোদার প্রেমের দিওয়ানা তুমি
সুন্দরী জুলেখা কোন ছার
হাসি মুখে তাই মেনে নিলে ভাই  অন্ধকার কারাগার!
কারাগার তব সেও ভালো পাছে ছলনাময়ী নারী
নিষিদ্ধ কামনার সুপ্ত লালসায় চরিত্র ধ্বংসকারী।
হায় ইউসুফ জুলেখার কি দোষ?
তুমিতো ছিলে তার স্বপ্ন পুরুষ।
দেখেছে স্বপ্নে তুমি মিশরের অধিপতি
জুলেখার তো শুরু সেখানেই দূর্গতি।
তোমাকে ভেবে না দেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসি
দেখে এতো তুমি নও একোন পরিণতি!
জুলেখার স্বামী বুড়ো উজির তুমি তাঁর ক্রীতদাস
ভালোবাসা মিথ্যে আশা হতাশা একরাশ।
তারপর হায় কতদিন গেছে কারাগারে বসি বসি
মনস্তাপে কেঁদেছে জুলেখা কত তা জানে তারকা শশী।
ইউসুফ নবী! আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ
রমণির ছলাকলায় হারায়নি সে হুঁশ
কোন রমণি কোন পথেতে তারি লাগি হয় আকুল
সে নিয়ে নবী ইউসুফ থাকেনা পড়ে হয়নি কখনো ব্যাকুল।
কারাগারে বসে খোদার প্রেমে সে হয়েছে মশগুল
বড় প্রেমে  মজেছে যে ছোট প্রেম পায় কি কুল?
তারপরে নিয়তির খেলায় হে নবী
কুয়ার অতল হতে তুমি মিশরের অধিপতি।
হেঁটেছ একদিন মিশরের রাজপথে
এক ভিখারিনী পথের ধারে বসে
বলছে কেঁদে হে ইউসুফ, হতে পারি পাপিনী
কিন্তু আমিতো শুধু তোমায় চেয়েছি আর কারে চাইনি।
নবী ইউসুফ দয়ায় সাগর অশ্রু ঝরেছে চোখে
জুলেখা তুমি ভিখারিনী আজ প্রেমের অভিলাশে।
হয়েছে প্রেমের জয়
জুলেখা দেখা স্বপ্ন পুরুষ জুলেখারই শেষে হয়।