বাবা সপ্তাহ ধরে চিঠি লিখতেন বিদেশের ঠিকানায়। চিঠি পোস্ট করে-ফিরতি চিঠির অপেক্ষায় থাকতেন রোজ। ঘিয়া পোশাকের কোন পোস্টমাস্টার দেখলে কিংবা সাইকেলের টুংটাং শুনলে বাবা গেট খুলতেন –নতুন চিঠির আশায়। ভাবতাম বাবার মত হয়তো সবাই। ফিরতি চিঠির অপেক্ষা করে। পোস্টমাস্টারের অপেক্ষা করে। খামে ভরা অনুভূতিগুলো কেবল পোস্টমাস্টারের কাঁধেই থাকে;ফিরতি চিঠিগুলো কেবল পোস্টমাস্টারই বিলি করে। আমি তখন থেকেই পোস্টমাস্টার হতে চাইতাম! এমনকি আজকের এই সহজলভ্য বার্তার যুগেও।