কুয়াশার শরীর চিরে এগিয়ে চলে; লাঙলের ফলা
নিস্তেজ ধুলোগুলো এবড়ো থেবড়ো জমে থাকে
আলের পথে।
কৃষাণের চোখ যায় বড়জোর সরিষাক্ষেত।
তবুও পুরুত্ব ভেদ করতে পারেনা সূর্যের রঙ
ততক্ষণে জেগেছে পাখির দল;
মিলের হুইসেল। এমনকি রাজহাঁসের ডাক
রসের গন্ধ চুয়িয়ে পরে প্রভাতের গা থেকে
কোথাও আবার ওমের লোভে আড়মোড়া ভাঙতে চায়না,
কচিদাঁতের শিশু।
শোনা যায় পাতার শরীর বেয়ে অবিরাম শিশির বিসর্জন
সময়ের আগে পরে ধোঁয়াওঠা চিতই জমে
গৃহস্থ ঘরের চুলোর পিঠে।
কাছেপিঠে কোথাও খড়ের কুণ্ডলীতে আগুন জ্বেলে;
বৃদ্ধরা পোষ মানাতে চায় শীতের তারুণ্যকে।