ধরেন, এই অনাগত শীতে কোনো একদিন কুয়াশা
আর তীর্যক দিগন্তের ফাঁদে সূর্য অসহায় হলে,
অবন্তী, যে কিনা অদিতির বোন, তাকে বলতে চাইলাম;
"চলো, আকাশের প্রান্তসীমা ছুঁতে একসাথে রওনা দেই,
শীতল হাওয়ার পরশে পথচলায় ক্লান্তি লাগে না তেমন..."


আমি আগাম জানি, মানবে না সে,
বহু বাহানায় এড়াবে, যার নাম অবন্তী বর্মন;
এখন আপনারাই বলেন, এভাবে কতদিন চলবে?


নাহ, এই অনড় ভ্যাপসা ভাদ্রে যখন-
চল্লিশ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে শরীর সিদ্ধ হচ্ছে,
তখন এক্সটা চিজঅলা পিজা খেলে মরে যাব;
আমার পান্তাই দরকার নিজ মর্জিমত, সাথে ঘাম-
ঝরানো ঝালের দু'টা শুকনা মরিচ আর আস্ত পেঁয়াজ!


এইবার তাকে বলে দেব,
তুমি পিজার প্লেট হাতে শীতাতপ রেস্তোরায় উচ্ছন্নে যাও..."


এইদিকে নাহয় পান্তার পানসে টক ঝাল স্বাদের গহীনে
আড়ালে পড়ে থাকবে আমার মুখস্ত না হওয়া কবিতার বই,
তাকে বহুবার দেখাতে চাওয়া বিগত ছয়মাসের পাঁজর-পুস্তক!


তার আরও কিছু অবহেলায় আমি কবিতার বরপুত্র হয়ে যাব...