অপেক্ষাকৃত অন্তর-ভালো এবং দৃষ্টিনন্দনের মধ্য হতে-
আমি বেছে নিলাম যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য!
এর আগে, কোনো গাধা এসে আমাকে বলে নাই, সোনা দাও!
কোনো বেড়াল ম্যাও ডেকে বলে নাই, এদিকেও দাও নজর!


বলি নাই আমিও, "এইদিকে দাও না নজর, ওগো বিষ্ণুপ্রিয়া!
তোমারও হিয়া, কাঁদিয়া বলিতেছে নাকি,
এইদিকে নিভে গিয়ে জ্বলে নাই কামনার জোনাকি?"


এইদিকে আজও কোনো বিস্মৃত অচিন গাছ,
যার ছায়া পড়ে অক্ষি-দিঘির জলে, জলের উপরিতলে!
বলে, "ফুটকি ফুটকি ব্যথারা অবিকল ক্ষুদ্রকায়া মাছ..."


আহারে গাছের বিবর্ণ চিরল, আহারে মাছের আভাহীন চোখ!
অভিশাপ দাও, ওঝাদিগেরেই দংশনের তরে সাপ ডেকে আনো,
তোমরাও নাকি মনে মনে মানো, কী বিকট সব্বনাশ আমি-
ভুল করে লিখে ফেলছি নারিকেল খোলে, আমড়ার ডালে...


এমনতর কৌশলে লিখেছি যাতে সত্যটারে কৌতুক মনে হয়!
যেহেতু, অন্তর-ভালো আর দর্শনসুখ বিচারে আমি হিসাবে নাই,
লিখে ফেলছি নিরন্তর অসুখের একখানা গল্পে তিনখানা নাম...


তিনখানা নাকি এক হালি? এতদিন পরে এসব হিসাব বাদ।
এত হিসেবে মেলেনাকো সুখঘাম...
নাগালে আসেনা সচরাচর মনের অবস্তুগত অবয়ব
সহজে মেলে বস্তু, বস্তু অণুতে গড়া মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য শরীর...