মৃত্যুর জ্ঞাত পর্যায়গুলো উপভোগ করছিলাম এতদিন
ইদানিং ভীষন ভয় ভয় লাগে
হয়তো অজানা গন্তব্য কিংবা পরিণতি খুব সন্নিকটে বলে


ধীরে ধীরে কেমন কঠিন হয়ে এলো সকল অস্থিসংযোগ
পা দুটো আজকাল ভীষন ভারী, কথা শোনেনা একদম


কিছুদিন আগে মশা এসে বসলেও টের পেতাম
এখনো টের পাই, তবে কেবল কোমরের উপর।
হাতগুলোও দূর্বল হয়ে আসছে, বুক ধড়ফড় করে
অনেকদিন আদেশ মানতে মানতে খুব ক্লান্ত ওরা


অনেকবার প্রাণহীন দেহ ফেখেছি আমি, বহু প্রিয় অপ্রিয় মুখের
এখন চোখ বুজে ভাবি নিজেরই নিথর হাড়মাংসত্বকের কাঠামো
ভয়ই লাগে আমার, নিজের তেমন অবয়ব ভাবা যায়না সেভাবে


সাইড টেবিলের ড্রয়ারে একটা সার্জিক্যাল ব্লেড গোপনে রাখা আছে
হাতদুটো পুরো অবাধ্য হবার আগেই এক হাতের কব্জি চীরে দেয়া যায়
মৃত্যুর আগে একেবারে নিশ্চল হতে চাইনা,  চাইনা অসহায় জীবনসায়াহ্ন
জীবনের শেষ সিদ্ধান্তের এখতিয়ার ঈশ্বরের বদলে হোক আমারই আমার
আমিতো কখনো মানিনি তাকে, ছিলাম চির অবাধ্য, অন্তিমে কেন নয়?


ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটতে ছুটতে একসময় মরে যাবো নির্ঘাত
মৃত্যুর পর নিজে নিজে দেখে নেবো নিজের নিথর হাসিমুখ


শেষবিচারের আগে অন্তত একবার হেরে যাক ঈশ্বর...