তোকে কিছুটা এর মত লাগে, তোর কিছুটা আমি তার ভিতর পাই। এই সত্যটা ঈশ্বর জেনে বসে আছেন, এই কিঞ্চিৎ বিকার ঈশ্বর মেনে বসে আছেন, কিন্তু দুনিয়ার কাউকে বলা যাবে না। যদি কিছু লিখি, মানুষেরা ভেবে নেবে, 'মামুলি কবিতা'...


তবে যে গল্প মানুষের সাথে মানুষের, যে গল্পে মানুষের চোখের ভিতর আরেকটা মানুষের অবিরত চোখ, সে গল্প নিয়ে কোনো কবিতা হয়না। তোকে তো চিঠিও লেখা হয়না, গুনে গুনে দশটা বছর।


এই সময়টাতে, সূর্যটাকে আর চাঁদটাকে আকাশে ভাসিয়ে রেখেছে আমাদের ইগো, এ এক অসম্ভব সক্ষমতা, মানসিক। ছেলেবেলাতেও ঠিক এরকম অসম্ভব সক্ষমতার কাছাকাছি কিছুর স্বপ্ন দেখতাম, বুঝতাম ওসব স্বপ্নই। চাইতাম, শুধু শেষ না হোক...


এরপর মেডিক বিছানায় শুয়ে, মৃত্যুর কাছাকাছি কিছু দুঃস্বপ্নদের ছুঁয়ে যাবার পরে, বহুকিছু বিস্মৃত আমার কৃষ্ণগহ্বরে, যারা কিনা জানতো আমাদের পারস্পরিক ভ্রমের অতীত। কিন্তু, তুই তো এখন অন্য পুরুষের গল্প করিস। রুধিরে মিল নেই, এমন পরমাত্মীয়ের সাতকাহন শুধাস।


সে যাই হোক, অনেকদিন পরে ফেলে আসা জীবনটাকে ভাবলে মনে হয় সবকিছু কত সুন্দর ছিল! তবে আমার হৃদয়ে এখন তেমন কোনো ক্ষতস্থান নেই। জানলা গলে অগ্রিম আসে হেমন্ত হাওয়া, অচেনা কোনো ফুলের গন্ধ তোর শরীরের গন্ধের সাথে মিলে যায়। আমাকে বিহ্বল রাখে তার আশ্চর্য শুশ্রূষা...