কণার কাকার কন্যা কলি
                 কাঁদলো কাকের কাজে
কাক কেড়েছে কলির কলা
                      কেউ করেনি না যে
কুচকুচে কাক কাড়ুক কলা
                       কাঁদবে কলি কতো
কলা কেনার কথায় কাকী
                          কাঁদছে ক্রমাগত
কণা কহে কওতো কাকা
                         কাঁদছে কেন কাকী  
কণার কথায় কাকাও কাঁদেন
                         কণাই কেবল বাঁকী।
           ________________


কুষ্টিয়ার কামাল কেরাণীর
                       কনিষ্ঠা কন্যা কণিকা
কাকার কাছে করুণস্বরে
                          কইলো -- কাকা !
     কাক কেন কর্কশ কণ্ঠে করে কা-কা ?
কাকা কইলেন কভু কাঁদবেনা
             কাকের কাজই করা  কা-কা।

কণিকা কাকীকে কইলো --   কাকী !
কুটি কাকার কুমারখালিতে কাজ কী ?
কোটালিপাড়ার করিম কাজীর
                  কিতাবকেন্দ্রে কর্মরত
কখনও কখনও
     কালি কলমের কাঁচামাল কিনতো।


কমলগঞ্জে কয়লার কারখানায়
                        কাজ করাকালীন
কাঠমিস্ত্রীর কাঠ কাটার কঠিন
                      কাজটিও করেছেন।


কাকী কণিকাকে
কর্তব্য ও করণীয় কিছু কথা কইলেন --
        কইবে কোকিল কণ্ঠে কম কথা
কাউকে কটাক্ষ করে কইবেনা কটুকথা
কিংবা কপাল কুঞ্চিত করে
    কস্মিনকালেও কইবেনা কর্কশ কথা।
              _____________________
                (মূল ভাবধারা সংগৃহীত)