"আহা, নাই বা হল গোলাপের মত সুন্দর,
তবুও তো ফুল !
ওর গায়ে ইচ্ছে মত প্রজাপতি বসাও,
পায়ে লাগুক রেণু, ফুলের বংশবৃদ্ধি হোক ।"


'মানে ধর্ষণ জাতীয় কিছু বলছেন সম্পাদক মশাই?
আবার, অপরিপক্ক শরীর নিবেদনও হতে পারে',
কবি একটু থামলেন ,
কাগজপত্র খুলে স্থির করলেন ফুলের ভাগ্য ,
তারপর নির্লিপ্ত প্রশ্ন , 'এবার ছাপা হবে তো ফুলের কথা?'


সম্পাদক মশাইয়ের চোখে উদাসীন দৃষ্টি ,
"তোমার ফুলটাকে গিরগিটি করা যায় না শব্দ দিয়ে ?
গিরগিটি করে দাও, রঙ বদলাবে সময় মত,
তারপর ওকে দেবতার পায়ে ফেলে দাও ,
শিউরে উঠুক ঈশ্বর।
সরীসৃপটাই আজকাল লোকে বেশি খায়
ছাপার অক্ষরে ফুলও বুকে হেঁটে চলবে।''


অগত্যা যে ফুলটি গজিয়ে উঠেছিল কবির দেওয়ালের পাশে,
অনায়াসে যে কবিতা হতে পারতো,
এবার পুজোসংখ্যায় সে এল গিরগিটি হয়ে ।
পাঠককুল বলল, 'এই না হলে আধুনিক -
ফুল শিরোনামে আস্ত একটা গিরগিটির কথা।'


কবির জানালায় এখন অন্ধকার,
শুধু সেই ফুলটির পাশে জোনাকিদের ভিড় ।
আবছা চোখে কবি্মন দেখে লকলকে জিভ,


'ও কে? সম্পাদক মশাই না? টাকাটা এনেছেন বুঝি?'