এখন অবশ অনুভূতির দিন
হোটেলের নিত্যকার পুরনো সয়াবিন
ন'টা পাঁচটা চিৎ হয়ে সময় ঠেলা
একটা একঘেয়ে সন্ধ্যাবেলা,
আলস্যের ব্যাচেলরি উদযাপন
অর্থহীন অথবা অপ্রয়োজন।


কাঁচা সকালে হলুদ ট্রাকের হর্ণ
কুকুরের ঘেউঘেউ, দোকানের শাটার
কেজির বাচ্চা নিয়ে ছোটা চল্লিশের মহিলাগুলো,
ভুড়ি নাচিয়ে জগিং এ ছোটা কিছু ক্লান্ত প্রৌঢ়
খেঁকিয়ে ওঠা সবজিওয়ালা
সব শব্দের বিশ্রী অনুনাদে এক বেহুদা সকাল,
এরপর সারাদিন মুখস্ত স্ক্রিপ্টে অভিনয়।


যাপিত যন্ত্রনা ভুলতে 'ফেকবুক' ধরি;
এখানে
অপ্রাপ্তির হাহাকার
প্রাপ্তির প্রচার
স্বামী স্ত্রীর মিউচুয়াল ট্যাগাটেগি
তথাকথিত সুখের ভাগাভাগি
বত্রিশ প্লাস 'বুড়ো'গুলোর বউ বন্দনা
হতাশাগ্রস্ত পঁয়ত্রিশের পড়ন্ত যৌবনা
নেতা-অভিনেতা-প্রেমিক-শ্রমিক-পতি-সতী-বণিতা-বারবণিতা-কবি-কবিরাজ-নারীবাদী-নারীবাজ-গুনী-খুনী-বিবাহিত-বিতাড়িত...
উফ!


উল্টো দ্বিগুন যন্ত্রণা নিয়ে
জীবনকে আদিম অসভ্য সব গালি দিয়ে
চারটা ভাত গিলে আলো নিভিয়ে,
আরেকটি প্রথাগত প্রভাতের অপেক্ষা।


৪ ফাল্গুন ১৪২৬