বেঁচে আছি!
অনেকটা গাছ কিম্বা মাছের মতো,
যারা কথা বলার অধিকার হারিয়েছে
জন্মগত ভাবেই,
মানুষের মতোই আমাদের চলার পা আছে,
কাজের হাত আছে, দেখার চোখ আছে,
বলার মুখ আছে,
বাড়তি বুদ্ধিগুণে পেয়েছি সুপার পাওয়ার,
তবুও এখন আর মানুষের মাঝে মানুষ নেই,
আছে মানুষের মতোই মানুষ,
অনেকটা পুতুলের মতো,
বড় বৌদির মেয়ে মাহার পুতুল যেমন -
চৈত্রের অসহ্য তাপদাহে মেয়েটা
পুতুলের গায়ে পরিয়ে দেয় ভারী জ্যাকেট,
মাঘের শীতে রাখে উলঙ্গ,
সে তার ইচ্ছানুযায়ী পুতুলকে কাঁদায়,
হাসায়, নাচায়,চালায়,
তৃপ্ত পেটে জোর করে গিলিয়ে দেয়
রাজ্যের খাবার,
পুতুলটা প্রতিবাদ করতে পারে না,
বলতে পারে না; এখন আমার এটা নয়;
ওটার প্রয়োজন,
অথচ পুতুলের হাত-মুখ-পা-চোখ-পেট-
পিঠ সবই আছে,
তার নাই বলতে যা আছে -
সেটাকে সংক্ষেপে অনুভূতি বলে,
এই একটা গুণ না থাকায় সে হারিয়েছে
মানুষ হওয়ার শ্রেষ্ঠ অধিকার,
হারিয়েছে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা,
আমারও বেঁচে আছি-
অনেকটা সেই পুতুলের মতো।
আমাদের ভাষা রোবটের মতো সীমাবদ্ধ,
আমাদের অনুভূতি পুতুলের মতো নির্জীব,
আমরা যেটাকে সহ্যগুণ বলি
অভিধান সেটাকে কাপুরুষতা বলে,
আমরা বেঁচে আছি অনেকটা-
সেই পুতুলের মতো।