নিজ অস্তিত্বে আমি আজ একা
কারো কাছে দু'দন্ড মনের কথা বলিব
এ সাধ্য নেই আমার
আমার আছে ভয় আর বিশ্বাসের অভাব;
সারা দিন-মান নিঃসঙ্গ কাটিয়ে দেই
তারপরও কারণ খুঁজি না কোন কিছুর
মনে হয় এই বেশ আছি
এই সুখে আছি;
এক দু'খন্ড কথা যদিও হয়
সেটা চাহিদার প্রয়োজনে।


জাগতিক নিয়মে মুক্তই মানুষের পছন্দ
কিন্তু আমার!
আমি পছন্দ করি ঝোপ ঝাড়;
পছন্দের ব্যাপারটা প্রত‌্যেকের আলাদা আলাদা থাকে
এই নিয়ে আমি সোরগোল করতে চাই না।


নিজের নিয়মে আমরা সবাই স্বাধীন
তবুও সবাই সবাইকে নিয়েই বাঁচে
মানে সমাজের সাথে
কিন্তু আমার!
আমার যে কেউ নেই।
সেকি আমার আপন কারণে?
আমি আর সবার চেয়ে একটু ভিন্ন বলে?
সে যাই হোক;
সমাজ!
সমাজ মানুষকে দায়বদ্ধ করে রেখেছে
মানুষ সমাজে বন্ধি,
মানুষ হিতে রচিত এক মাধ্যম সমাজ
কিন্তু সেই সমাজ আজ আমার গলায় কাঁটা হয়ে বিধেছে।
আমার নিঃসঙ্গতা কী পারবে
সমাজ থেকে আমাকে আলাদা করতে?
পারবে কী মানুষের পছন্দের মূল্য দিতে?


রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‌‌‍"মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়
আর মরে গেলেই পঁচে যায়।"
কিন্তু আমি বলব, ভুল;
মানুষ বেঁচে থাকলে তার আচরন বদলায়, গঠন নয়
আর মরে গেলে গঠন পঁচে যায়, কর্ম নয়।
তাই আমি বলি, "মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়
আর মরে গেলে রেখে যায়।"


আমি আমার একান্ত নিজের করে যখন কোনকিছু ভাবি
যেমনঃ আমার সমাজ, আমার পৃথিবী,
আমার পরিবর্তন, আমার কর্ম ইত্যাদি;
তখন মনে হয় আমার সমাজ কবিতাকে নিয়ে,
আমার পৃথিবী কবিতার পৃথিবী,
আমার পরিবর্তন কবিতার কারনে
আমার কর্ম কবিতার প্রভাব।


সবশেষে আমি বলব, আমার সর্ব অস্তিত্বে যদি শুধু কবিতাই থাকে
তাহলে দরকার নেই আমার এই সমাজের
দরকার নেই আমার সেই সব মানুষদের
যে সমাজে থাকতে হয় আমাকে দম বন্ধ করে
যে সমাজে মানুষ থাকতেও
থাকতে হয় আমাকে নিঃসঙ্গ।
মৃত্যু তো আসবেই একদিন
তবে কেন সংগ্রামী হব না?


রচনাকালঃ ২০ এপ্রিল, ২০০২খ্রিঃ।