মেয়েতো নয় ভগবান যেন দিল সাক্ষাৎ এক লক্ষ্মী,
বহু আদরে বহু যতনে বাবায় নাম দিল তার পক্ষী।
দুঃখ-দীনের সংসার বাবার অত নেই যে ক্ষমতা,
কি জানি কি ভাবিয়া এই দান করিয়া দিল দেবতা।
হলুদ বরণ গতর তাহার মুখখানা যেন পূর্ণিমার চাঁদ,
ওই মুখ একবার না দেখিলে বাবায় পায় না খাবারে স্বাদ।
দিন গেল- মাস গেল- গেল বছর পনেরো হয়ে পার,
কন্যা-দায়ের চিন্তায় আর ভাল লাগে না গৃহস্থালি বাবার।
এ’ঘর ও’ঘর আর উঠান করে মায়ের দিনক্ষণ কেটে যায়,
“সকলই ঠিক হইয়া যাইবো”- বলে বাবারেও সে বোঝায়।
মায়ের হাতের রূপার বালা বাবা একদিন বেচে বানিয়ায়,
মল গড়াইল, পক্ষিরে ডাকিল, পরাইয়া দিল তাহার গিরায়।
সে দেখে বলিব কি আর! কত যে খুশি হইল তার মা’য়,
তুষ্ট হইয়া বারবার মা ফিরিয়া ফিরিয়া পক্ষীরে শুধু চায়।
অত যতনের পক্ষী সে ছিল বাবা-মায়ের আদরের দুলালি,
কেউ কি জানিত আসলে সে এক নিষ্ঠুর কপালী?