হর নিশীথেই শুরু হয় তোর শৈত্য নিশ্বান;
কর্ণ স্থির করে-
মন ঢলে শ্রবণ করি সে নিশ্বান,
আকাঙ্খা হয় মুখ ফুটিয়েই বলি-
আহ! কি সুমিষ্ট।
কিন্তু কাঁটাচুয়ার কাঁটার মতো বিধে কেন রে?
এ কিসের ধাবকা?
মনে হয় যেন-
আমার দেহ তোর সুমিষ্ট নিশ্বানের ধারয়িতা,
দেহে শক্তি অনুভূত হয় বিভঙ্গদের মতো।
ওরে রোজ নিশীথের পাখালী!
আমি তো পঞ্চালিকা নই
আমায় নিয়ে খেলিস কেন রে?
নই তোর মতো নিতন্দ্রা পতঙ্গ
তবে কেন করিস আমায় রাত জাগানিয়ার সাঙ্গ?


শব্দবোধঃ
হর=প্রতি। নিশীথ=মধ্যরাত। শৈত্য=শীতল। নিশ্বান=ধ্বনি। কর্ণ=কান। কাঁটাচুয়া=সজারু। ধাবকা=প্রভাব। ধারয়িতা=ধারনকারী। বিভঙ্গ=হিমালয়ে একধরনের পার্বত্য জাতি। পাখালী=পাখি। পঞ্চালিয়া=মাটির পুতুল। নিতন্দ্রা=যার ঘুমের প্রয়োজন নেই। সাঙ্গ=সাথি।